কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয়েছে এমবিবিএস (মেডিক্যাল ) ভর্তি পরীক্ষা। শুক্রবার সারাদেশে ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে একযোগে নেওয়া হয় এ পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছিলেন এক লাখ ৩৯ হাজার ২১৭ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ৩ হাজার ৪০৪ জন।
শনিবার (১১ মার্চ) সকালে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। রাজধানী ছাড়াও ১৪টি জেলা শহরে মেডিক্যাল কলেজের এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা শহরগুলোর মধ্যে ছিল- রাজশাহী, পাবনা, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, খুলনা, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, দিনাজপুর, বগুড়া ও গোপালগঞ্জ। এর মধ্যে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ কেন্দ্রে অনুস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি। এই কেন্দ্রে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসেননি।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. জামাল জানান, মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে আগামীকাল রোববার। কোনো কারণে ওইদিন ফলাফল ঘোষণা করা না হলে তা পরদিন (সোমবার) প্রকাশ করা হবে। বুয়েটের সিএসই বিভাগের সহায়তায় প্রস্তুত করা হবে ফল।
বর্তমানে দেশে মোট সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ৩৭টি। সরকারি মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএসে চার হাজার ৩৫০টি আসন রয়েছে। মেধা কোটায় তিন হাজার ৩৮৪ জন, জেলা কোটায় ৮৪৬ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৮৭ জন ও উপজাতি কোটায় ৩৩ জন ভর্তি হতে পারবেন।
এছাড়া ৭১টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছয় হাজার ৭৭২টি আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে ৩৩ হাজার ৮৬০ জন শিক্ষার্থী মেধা ও পছন্দের ভিত্তিতে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন।
এবার মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য এক নম্বর প্রদান করা হবে। পাশাপাশি প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর।