২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি)। এবার এক লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি আবেদন পড়েছে। সে হিসেবে এবার সরকারি মেডিক্যালে আসনপ্রতি প্রায় ৩২ জনের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে।
জানা গেছে, দেশের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলো মোট আসন রয়েছে চার হাজার ৩৫০টি। এবার মেডিক্যালে ভর্তির জন্য মোট আবেদন পড়েছে এক লাখ ৩৮ হাজার। সে হিসেবে প্রায় ৩২ জন আসনপ্রতি লড়বে। আর বেসরকারি মেডিক্যালে আসন রয়েছে ছয় হাজার ১৬৮টি। সব মিলিয়ে ১০ হাজার ৫১৮টি আসনের জন্য ভর্তিযুদ্ধে নামবেন শিক্ষার্থীরা। সেক্ষেত্রে আসনপ্রতি প্রায় ১৬ জন পরীক্ষায় বসবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (সরকারী ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ) ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বলেন, আবেদন প্রক্রিয়া শেষ এখন আসনবিন্যাসের কাজ চলছে। এরপর প্রবেশপত্র ছাড়া হবে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রবেশপত্র বিতরণ শুরু হবে ৬ মার্চ। ৭ মার্চ পর্যন্ত প্রবেশপত্র পাওয়া যাবে। ১০ মার্চ সকাল ১০টায় দেশের ১৯টি কেন্দ্রে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বেসরকারি মেডিক্যালে ভর্তির ক্ষেত্রে পাস নম্বর ৪০ পেলেই হবে না, মেধাক্রম থাকতে হবে ৩০ হাজারের মধ্যে। তুলনামূলক যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্থান দিতে এই নিয়ম করা হয়েছে। বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস ও বিডিএস প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা গুনতে হবে। ইন্টার্নশিপ বাবদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা (অপরিবর্তিত) ও টিউশন ফি বাবদ মাসে ১০ হাজার টাকা খরচ হবে।
গত বছর এক লাখ ৪৩ হাজার ৭৩০ জন মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছিল, যা ছিল অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় রেকর্ড। প্রতি আসনের বিপরীতে ৩৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল।