ভারতের বিহারের বাঙ্কা জেলার সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মেসের খাবারে মৃত সাপ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ওই খাবার খেয়ে কলেজের ১০ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালেও ভর্তি ছিল বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেসের খাবারে মৃত সাপ পাওয়ার পর বিহারের একটি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ১০জন ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে শিক্ষার্থীরা খাবারে বিষক্রিয়ার অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে সবাই এখন সুস্থ।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা। ছাত্রদের অভিযোগ, এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় কলেজের এক কর্মী তাদের হুমকি দিয়েছেন।
কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সানি মাহতো বলেন, আমরা মেসের খাবার (গুণমান) নিয়ে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু এবার তা সীমা অতিক্রম করেছে। খাবারে একটি সাপ পাওয়া গেছে। কেউ এটা সহ্য করতে পারে না। যতবার আমরা শিক্ষকদের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি, তারা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে।’
মেসটি একটি বেসরকারি ঠিকাদার পরিচালনা করে বলে জানা গেছে। তবে খাবারের মানের সমস্যাটি মেয়েদের মেসেও রয়েছে বলে অভিযোগ করেন আয়ুশি নামের এক ছাত্রী।
আয়ুশি বলেন, ‘এসডিএম স্যার অনেকদিন আগে পরিদর্শনের জন্য এসেছিলেন। সেসময় ৯০ শতাংশ মেয়াদউত্তীর্ণ খাবার পান তিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘হোস্টেলে থাকতে হলে মেসের খাবার খেতে হবে এমন নিয়ম আছে। কেউ খাবার না খেলে কিংবা মেসের চার্জ না দিলে তাদের পরীক্ষায় বসতে দেয়া হয় না।’
এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনশুল কুমারকে উদ্ধৃত করে লাইভ হিন্দুস্তান বলেছে, ‘কলেজে এর আগেও খাবার সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো হয়েছিল। প্রশাসন এটি তদন্ত করেছে এবং কলেজকে একটি নির্দেশ জারি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরণের ঘটনা যদি আবার ঘটে তাহলে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
সাব ডিভিশনাল অফিসার (এসডিও) অবিনাশ কুমার এবং ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (ডিএসপি) বিনোদ কুমার শুক্রবার সন্ধ্যায় কলেজ পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করেন।