দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : ভারতের হরিয়ানায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ থেকে অধ্যাপক বাবা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার দিন ওই অধ্যাপক তার স্ত্রীকে জানান স্কুটার নিয়ে সংক্ষিপ্ত ট্যুরে বের হচ্ছেন। এরপর আর ফিরে আসেননি। অপারেশনের ব্লেড দিয়ে নিজের ৮ বছরের মেয়েকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। পরে একই ব্লেড নিজের গলায় চালিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এ বিষয়ে এক প্রতিবেদন এসব তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদন বলা হয়, লালা লাজপত রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সের অফিসে স্বামী ও মেয়ের মরদেহ পায় স্ত্রী। ওই অধ্যাপকের এক সহকর্মী পুলিশকে জানায়, সন্দ্বীপ গোয়াল দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন। এজন্য তাকে মানসিক ডাক্তারও দেখানো হয়েছিল।
পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট রাজেশ মোহান জানিয়েছেন, তার আত্মহত্যার পর ঘটনার আলামত সংগ্রহ করতে পুলিশের ফরেনসিক বিভাগ ঘটনাস্থলে গেছে। সন্দ্বীপ গোয়াল ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে লালা লাজপত রায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার (১০ মার্চ) ৩৫ বছর বয়সী সন্দ্বীপ তার মেয়েকে নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে স্কুটার নিয়ে ঘুরতে বের হন। কয়েক ঘণ্টা পার হলেও তারা ফিরে না আসায় তার স্ত্রী তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে যান। পরে সন্দ্বীপ গোয়ালের স্কুটারটি তার বিভাগের সামনে পার্ক করা থাকলেও রুমের দরজা ভেতর থেকে লক করা পান। এরপর তার স্ত্রী নিরাপত্তাকর্মীকে ডাকেন। পরে নিরাপত্তাকর্মী এসে দরজা খোলার পরই এ ভয়ংকর দৃশ্য দেখতে পান স্ত্রী।