ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সন্তানরাই বাবা-মায়ের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ।
স্কুল বাসগুলোতে সিসি ক্যামেরাসহ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। অ্যাপসের মাধ্যমে ট্র্যাকিং ব্যবস্থা থাকবে। নিরাপত্তা ও স্কুলবাসের চালক ও স্টাফদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে। একটি হটলাইন নম্বর থাকবে যেটির মাধ্যমে অভিভাবকরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারবে। শিক্ষক এবং অভিভাবকদের আগ্রহ ও সমর্থন এটি বাস্তবায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। আমরা আশা করছি প্রথম ধাপে মে মাসে স্কুলবাস চালু করতে পারবো।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বনানীর চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুলবাস প্রবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, অনেক শিক্ষার্থী মিলে একটি স্কুলবাসে যাতায়াত করবে। যেখানে একজন শিক্ষার্থী একাই একটি গাড়ি ব্যবহার করে। তাই পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে আহ্বান করা হবে যেন সিগনালে স্কুলবাসকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। এছাড়া স্কুলবাসে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে। নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হবে। কোনো বাস নষ্ট হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে বিকল্প বাসের ব্যবস্থা থাকবে যেন দ্রুত সার্ভিস দেয়া যায়।
তিনি বলেন, স্কুলের পাশে ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনো প্রকার অস্থায়ী দোকানপাট থাকবে না। স্কুলবাসে শিক্ষার্থীরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে উঠা-নামা করতে পারে সেজন্য স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলাকায় গাড়ি পার্কিং বন্ধ করা হবে। আমরা সব দিক বিবেচনায় নিয়েই কাজ করছি।
মেয়র বলেন, আজকে চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলে এসেছি। পরে স্কলাস্টিকা স্কুল, স্যার জন উইলসন স্কুল ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়াল স্কুলেও যাব শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ করতে। অন্যান্য কিছু স্কুলও স্কুলবাস সার্ভিস চালু করতে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, সচিব মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন, চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল ঢাকার প্রিন্সিপাল আছিয়া আলম চৌধুরী প্রমুখ।