সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে সারাদেশে চলছে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়াতে আজও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যায় পড়ার কথা জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা। হঠাৎ মোবাইল ইন্টারনেটের গতি কমে গেছে। ফেসবুকেও প্রবেশ করতে পারছেন না অনেকে। বৃহস্পতিবার দেশের প্রায় সব মোবাইল অপারেটরের ইন্টারনেট ধীরগতিতে চলার তথ্য দিয়েছেন ব্যবহারকারীরা।
গ্রাহকদের অভিযোগ, হঠাৎ করে ইন্টারনেট গতি কমে গেছে। কেউ কেউ ফেসবুক ও মেসেঞ্জারেও প্রবেশ করতে পারলেও কোনো বার্তা, ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ফেসবুক হালনাগাদ পোস্ট পাওয়া যাচ্ছে না। ঘুরেফিরে ঘণ্টাখানেক বা তার চেয়ে বেশি সময় আগে করা পোস্টে সামনে আসছে।
রাজধানী মিরপুরের বাসিন্দা ইমরান হোসেন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যার মুখে পড়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ধীরগতির কারণে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সকাল থেকে মোবাইল দিয়ে কোনো কিছুই ব্রাউজ করতে পারছি না।
জরুরি কাজও করা যাচ্ছে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, মোবাইল নেট নাই বললেই চলে। লেখা আছে ফোর-জি কিন্তু কোন কাজই হচ্ছে না। ভিপিএনের মাধ্যমে ফোনে খুবই ধীরগতিতে ফেসবুক-মেসেঞ্জার ব্যবহার করেছেন বলে জানান তিনি। কিন্তু মাঝে মধ্যে সেটাও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, ওয়াই-ফাই ছাড়া মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে খুব সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট খুবই ধীরগতি। ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট ধীরগতির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অপারেটর অথবা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।