তিন সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষক সমিতি একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে সময়মতো কোর্স শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের কতিপয় ব্যয় স্থগিত/ হ্রাসকরণ ও বিদেশ ভ্রমণ সীমিতকরণের পরিপত্র জারি করে।
এদিকে এ সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তাঁরা বিক্ষোভও করেন। সে সঙ্গে সব এসি, লিফট ও এসি বাস চলাচল বন্ধেরও দাবি তোলেন।
এরই মধ্যে ১৮ জুলাই কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, গত ১৬ জুলাই কতিপয় শিক্ষার্থী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন। এ ছাড়া সব ভবনের লিফট বন্ধ করে দেন। ১৮ জুলাই তাঁরা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের গাড়ি বন্ধ রাখতে বাধ্য করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন শিক্ষক সমিতি জরুরি সভা করে সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র অভিযোগ করেছে, যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণেই সংকটের সমাধান হচ্ছে না। বরং উপাচার্যঘনিষ্ঠ শিক্ষকেরা ওই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি সৈয়দ মো. গালিব বলেন, কতিপয় শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নিয়ে যান। এতে শিক্ষকেরা অপমানিত হয়েছেন। অপমানের সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকেরা ক্লাসে যাবেন না।
জানতে চাইলে চিকিৎসাজনিত কারণে দেশের বাইরে ছিলেন উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, বৃহস্পতিবার তিনি ক্যাম্পাসে ফিরবেন। এরপর বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করে ক্লাস-পরীক্ষা চালুর উদ্যোগ নেবেন।