দৈনিকশিক্ষাডটকম ডেস্ক : ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বিমান হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় হুতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। এ অবস্থায় লোহিত সাগর অঞ্চলের নিরাপত্তায় মধ্য প্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মিত্রদের সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে। এ অঞ্চলে উত্তেজনা এড়াতে বলেছে সৌদি আরব। এ নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে দিয়েছে।
রিয়াদ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে এই বিবৃতিতে জানিয়েছে।
কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়, ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। শুক্রবার হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয় দেশ দুটির সেনাবাহিনী। হুতিদের লক্ষ্য করে রাজধানী সানার হুদাইদাহে হুতি লোহিত সাগর বন্দর, ধামার ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হামলার খবর পাওয়া গেছে।
তবে ইয়েমেনের রাজধানী সানায়ে বার্তা সংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) সাংবাদিকরা চারটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনলেও যুদ্ধবিমানের কোনো চিহ্ন দেখতে পাননি।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে চলাচলের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করায় ‘আমার নির্দেশে’ হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডের সমর্থনে হামলা চালানো হয়েছে।
এ হামলায় পাল্টা হুমকি দিয়েছে হুতি। হুঁশিয়ারি দিয়ে এতে বলা হয়- যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে এজন্য চরম মূল্য দিতে হবে।
হুতিরা ইয়েমেনের বেশির ভাগ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে। এই যোদ্ধারা ইসরায়েল অভিমুখে জাহাজগুলো লক্ষ্যবস্তু করে তাদের মিত্র হামাসকে সমর্থন করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্র গত মাসে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের হামলা মোকাবিলা করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক জোট গঠন করেছে। তাদের হামলা কিছু শিপিং লাইনকে দক্ষিণ আফ্রিকার চারপাশে দীর্ঘ সমুদ্রপথ বেছে নিতে এবং লোহিত সাগরকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে বাধ্য করেছে।
সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালায়। গত কয়েকদিন এ ঘটনা বাড়িয়ে দিয়েছে হুতিরা।
হুতিরা বলেছে, ইসরায়েল গাজায় সংঘাত বন্ধ না করা পর্যন্ত তারা তাদের হামলা চালিয়ে যাবে।