যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ১৪ জুলাই শুক্রবার স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ‘সুপার ফ্রাইডে’ আয়োজন করে। এদিন দূতাবাসের কনসুলার কর্মীরা অতিরিক্ত সময় কাজ করার মাধ্যমে নন-ইমিগ্র্যান্ট স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদনকারী পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। গতকাল ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছর থেকে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মীরা বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা পাওয়ার সময় কমাতে ১৬টি সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নিবেদিতভাবে কাজ করার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীসহ ছয় হাজারের বেশি নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা আবেদনকারী এবং দুই হাজারের বেশি ইমিগ্র্যান্ট (অভিবাসী) ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ২০০টিরও বেশি দেশ থেকে ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৯ জন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বর্তমানে স্টুডেন্ট ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বব্যাপী দূতাবাস ও কনসুলেটগুলোর মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ২ হাজার ৮০০ জন থেকে বেড়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ১০ হাজার ৫৯৭ জন হয়েছে।
যোগ্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নের সুযোগ বাড়ানো মার্কিন সরকারের অন্যতম শীর্ষ অগ্রাধিকার। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস, আমেরিকান কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে একাডেমিক সহযোগিতা সমৃদ্ধ হওয়া ও সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ অবদানের পাশাপাশি এ শিক্ষার্থীরা যখন নিজ দেশে ফিরে আসে—তার যে ইতিবাচক প্রভাব সে সম্পর্কে তারা অবগত।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায়। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা যুগান্তকারী গবেষণায় নিয়োজিত হওয়া থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্যাম্পাস জীবনকে সমৃদ্ধ করার মধ্য দিয়ে পুরো আমেরিকাজুড়ে তাদের সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। আমরা এটা দেখে উচ্ছ্বসিত যে আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী অধ্যয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিচ্ছেন।’