যুগোপযোগী কারিকুলাম চাই - দৈনিকশিক্ষা

যুগোপযোগী কারিকুলাম চাই

মো. মাহাতাব আলী |

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন,  ‘বর্তমান শিক্ষক দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা কঠিন। মূল্যায়ন পদ্ধতির দিক থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই নতুন শিক্ষাক্রম আমাদের দেশের জন্য উপযুক্ত নয়। যতদূর পারি আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাবো।’ 

মাধ্যমিক পর্যায়ের একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ করে বলতে চাই -  আমাদের দেশে একটি যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম জরুরি। এ দেশে যতবার সরকার পরিবর্তন হয়েছে ততবারই মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়েছে।‌ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা যেন সরকারের একটি ‘রাজনৈতিক খেলার মাঠ’ আর ‘শিক্ষা কারিকুলাম’ যেনো রাজনৈতিক ফুটবল মাঠের ‘ওয়ান টাইম ফুটবল’।  যখন যে সরকার ক্ষমতায় এসেছে তখন সেই সরকার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষা পদ্ধতি খেয়ালখুশি মত পরিবর্তন করেছে। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো সরকারই একটি যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করতে পারে নি।

বিভিন্ন সরকারের আমলে দফায় দফায় মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষানীতি, শিক্ষা কমিশন, শিক্ষা কারিকুলাম, শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন করা হলেও এসবের কোনোরকম কোন সফলতা পাওয়া যায় নি বরং সব কারিকুলাম এবং শিক্ষা পদ্ধতিই বিতর্কিত হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে দেশে প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে কুদরাত-ই-খুদাকে প্রধান করে দেশে প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়েছিলো। কমিশন প্রতিবেদন জমা দিলেও ওই শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হয়নি। এরপর নানা সরকারের সময় বিভিন্ন  শিক্ষা কমিশন ও কমিটি হলেও কোনোটিই আর আলোর মুখ দেখেনি। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আমলে মজিদ উদ্দিন শিক্ষা কমিশন, ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে শামসুল হক শিক্ষা কমিশন, ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে এমএ বারী কমিশন ও ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে মনিরুজ্জামান মিঞা কমিশন গঠন করা হয়।

সর্বশেষ ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ৮ এপ্রিল জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর (বর্তমানে প্রয়াত) নেতৃত্বে সর্বশেষ শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি হয়। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে মে মাসে কমিটির সুপারিশ করা শিক্ষানীতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়। কিন্তু তা ব্যাপক বিতর্কিত হয়েছে এবং সেটিও কোনো আলোর মুখ দেখেনি।

সুতরাং  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ -  বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়ন করা যেমন কঠিন এবং বিতর্কিত তেমনি আগের কারিকুলামও বিতর্কিত। আগের কারিকুলাম এবং সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি থেকে আমরা বিন্দুমাত্র সফলতা পাই নি। সুতরাং এ কথা দ্ব্যর্থহীনভবে বলা যায় যে, বর্তমান কারিকুলাম এবং আগের কারিকুলাম দুটোই যুগোপযোগী নয়।

অতএব, আমরা এমন একটি শিক্ষা কারিকুলাম চাই যা হবে- যুগোপযোগী, কর্মমুখী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর, এবং ধর্মমুখী। 

দেশের বিগত মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা দেখি যে, এ দেশে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা  কারিকুলাম বার বার পরিবর্তন করা হয়েছে সেইসঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।  যেমন- Grammar Translation Method, Communicative Method, Creative Method এবং সর্বশেষ Competency Based Method যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। কিন্তু কোনো শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষা পদ্ধতি এদেশে সুফল বয়ে আনে নি। 

এ অবস্থায় যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা না গেলে আমরা আবারো ব্যর্থ হবো। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি এদেশে বর্তমান সময়ে একটি যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়ন করার সময় এসেছে। 

সুতরাং শিক্ষা উপদেষ্টার নিকট অনুরোধ, এমন একটি যুগোপযোগী কারিকুলাম এবং শিক্ষা পদ্ধতি চালু করুন যাতে করে বাংলাদেশে যতই সরকার পরিবর্তন হোক না কেনো, শিক্ষা কারিকুলাম যেনো পরিবর্তন না হয়। যে শিক্ষা কারিকুলাম ও শিক্ষা পদ্ধতিকে দেশের শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, অভিভাবকমণ্ডলী এবং শিক্ষার্থীরা অভিনন্দন জানাবে। যে শিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন করতে চাইলে দেশের সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার প্রতিবাদ জানাবে এবং প্রয়োজনে আন্দোলন গড়ে তুলবে।


মাধ্যমিক স্তরে আমরা এমন একটি শিক্ষা কারিকুলাম চাই যা আমাদের শিক্ষার্থীদের চারটি চাহিদা পূরণ করবে। সেগুলো হলোঃ 
১।‌ যুগোপযোগী শিক্ষা 
২। কর্মমুখী শিক্ষা 
৩। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা 
৪।‌ ধর্মমুখী শিক্ষা

১। যুগোপযোগী শিক্ষাঃ 

যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করার জন্য আমরা উন্নত রাষ্ট্র যেমন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া বা জাপানকে অনুসরণ করতে পারি। কারণ আমরা যতই চিৎকার করে বলি না কেনো আমরা উন্নয়নশীল দেশ, আমরা মধ্যম আয়ের দেশ ইত্যাদি কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমরা একটি অনুন্নত দেশ এবং পরনির্ভরশীল দেশ। সুতরাং আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম হওয়া উচিত উন্নত রাষ্ট্রের অনুসরণে।

২। কর্মমুখী শিক্ষাঃ 

কর্মমুখী শিক্ষার জন্য আমরা কারিগরি শিক্ষা বা বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং কৃষি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে পারি। পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিগ্রি পাস কোর্সের পরিবর্তে বিভিন্ন ট্রেইনিং কোর্স বা 
ডিপ্লোমা কোর্স চালু করতে পারি। এছাড়াও যেহেতু বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ তাই কৃষি শিক্ষার ক্ষেত্রে আধুনিক এবং প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে।
 
৩। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষাঃ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমরা পৃথিবীর অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করতে পারি।

৪। ধর্মমুখী শিক্ষাঃ

“Science without religion is lame, religion without science is blind.”- 
এই বিখ্যাত উক্তিটি করেছিলেন পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত  বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন। যার অর্থ হলো- ‘ধর্ম ছাড়া যে বিজ্ঞান সেটা হলো পঙ্গু আর বিজ্ঞান ছাড়া যে ধর্ম সেটা হলো অন্ধ।’ সুতরাং আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা যেনো হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর এবং ধর্মমুখী।
কারণ ধর্ম পালন করা ছাড়া মানুষ সভ্য এবং সৎ হতে পারে না। সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবে মানুষ বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছে। অধিকাংশ  ধর্মীয় স্কলারদের জ্ঞানের স্বল্পতা এবং ধর্মীয় গ্রন্থের অপব্যাখ্যার কারণে তারা নিজেরা তো বিভ্রান্ত হচ্ছেন এবং সেই সাথে দেশের সাধারণ মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করছেন। ধর্ম বলে এক কথা, আর অধিকাংশ ধর্মীয় স্কলাররা ব্যাখ্যা করেন আরেকটা।

অনুপোযোগী ইংরেজি শিক্ষা পদ্ধতি 

দেশের ইংরেজি শিক্ষা পদ্ধতি একদমই বাজে এবং অচল। চারটি স্কিলের মধ্য শুধু Reading & Writing এর অস্তিত্ব রয়েছে বাকি Listening & Speaking এর বিন্দু পরিমাণ কোনো অস্তিত্ব নেই। এই পদ্ধতিতে কিভাবে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভাষা শিখতে পারে তা কোনভাবেই বোধগম্য নয়। সুতরাং  ইংরেজি শিক্ষায় Listening এবং Speaking এর জন্য ৫০ শতাংশ Audio Visual এর অন্তর্ভুক্তিকরণ অপরিহার্য তা অবশ্যই করতে হবে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগঃ 

বাংলা ও ইংরেজি বর্ণমালার সঠিক উচ্চারণ করতে পারে না আমাদের দেশের ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর কারণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয় না। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মত প্রাথমিক বিদ্যালয়েও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের আর কোনো বিকল্প নাই। এছাড়াও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের অভাবে হিন্দু শিক্ষককে ইসলাম ধর্ম পড়াতে হয় যা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সেই সঙ্গে হাস্যকরও। 

একটি যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষা পদ্ধতি চালু করতে বিভিন্ন বিষয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি করে তাদের মাধ্যমে আমরা একটি যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে পারি ইনশাআল্লাহ।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে- এটি সময়ের ব্যাপার। ঠিক আছে সময় নিন। তার আগ পর্যন্ত ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের আগের কারিকুলাম এবং শিক্ষা পদ্ধতি পুনর্বহাল করুন। এর মধ্যেই দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করুন।

সবশেষে বলতে চাই, শুধু কারিকুলাম পরিবর্তন করলেই শিক্ষার মান উন্নত হয়ে যাবে তেমন আশা করা যায় না বরং শিক্ষা ক্ষেত্রে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করে শিগগিরই তা দূর করতে হবে। তা না হলে আমরা শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য অর্জন করতে সক্ষম হবো না।

বেসরকারি শিক্ষা খাতের সমস্যা ও সমাধানে পদক্ষেপ 

১। দেশের সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করতে হবেঃ

আমাদের দেশে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা সরকারি এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মত শতভাগ এবং সমান পরিশ্রম করেও ১৫ বছর, ২০ বছর, ২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে চাকরি করছেন এবং অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বেতন পান না বলে এই সমস্ত শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা সমাজে অবহেলিত এবং মানুষের হাসির পাত্র। তাদের কষ্টের কথা লিখে কখনোই বর্ণনা করা যাবে না।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমি বিনয়ের সঙ্গে জানতে চাই-  আপনে তো বহু দেশ সফর করেছেন, আপনি পৃথিবীর কোনো দেশে দেখেছেন যে,  শিক্ষকরা বিনা বেতনে চাকরি করেন? অবশ্যই দেখেন নি। তাহলে বাংলাদেশে কেনো এই রকম নেতিবাচক দৃষ্টান্ত থাকবে ? 
তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি, দেশের সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বেই একযোগে এমপিও ভুক্ত করুন।

২। বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় শিক্ষকদের বদলি 

বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বিগত সরকার ক্ষমতার দাপটে বদলি বন্ধ করে রেখেছে। সুতরাং অতিশীঘ্রই বদলি ব্যবস্থা  চালু করুন। বদলি ব্যবস্থা চালু করতে সরকারের একটি টাকাও খরচ করতে হবে না।

৩। বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতাঃ

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা অন্যান্য চাকরিজীবীদের মতই সমান করতে হবে। কোনরকম ব্যবধান রাখা যাবে না।

৪। উৎসব ভাতাঃ

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উৎসব ভাতা অন্যান্য চাকরিজীবীদের মতই শতভাগ দিতে হবে।

৫। শিক্ষা ক্ষেত্রে সকল দুর্নীতি দমন 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের মধ্যে যারা দুর্নীতিবাজ তাদেরকে দুর্নীতির মাত্রা ভেদে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং প্রয়োজনে চাকরিচ্যুত করতে হবে।

৬। মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণঃ

মাধ্যমিক শিক্ষার প্রায় ৯৫ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি (এমপিওভুক্ত)।  বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ একটি সর্বজনীন দাবি। এ দাবি বাস্তবায়ন করতে সরকারের অতিরিক্ত কোনো টাকা ব্যয় করতে হবে না। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়ের যে টাকা ব্যাংকে জমা রয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের প্রদেয় মাসিক যে স্বল্প বেতন নেয়া হয় তা দিয়েই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা সম্ভব। শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন আমলা এবং দালালদের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের ক্ষেত্র করে রাখতে আজ পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হয় নি।

আশাকরি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ ঘোষণা করে জাতীয় ইতিহাস সৃষ্টি করবেন। তবে তার আগে সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করতে হবে।

আমরা শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয়, দেশের প্রতিটি সেক্টরে পরিবর্তন কামনা করি। দুর্নীতির ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ এর ভূমিকা পালন করবেন সেই প্রত্যাশা রাখি। অন্যায়কারী যে দলেরই হোক বা যে মতাদর্শেরই হোক না কেনো সে যেনো কোন ছাড় না পায় সেই প্রত্যাশা রাখি। 

লেখক: শিক্ষক, সৈয়দ আজিজ হাবিব উচ্চ বিদ্যালয়, নবীগঞ্জ, হবিগঞ্জ 

 

গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কমপ্লেইন বক্স বন্ধ - dainik shiksha গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কমপ্লেইন বক্স বন্ধ পদত্যাগে বাধ্য করা অধ্যক্ষকে ফুলেল শুভেচ্ছায় ফেরালেন শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha পদত্যাগে বাধ্য করা অধ্যক্ষকে ফুলেল শুভেচ্ছায় ফেরালেন শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম দামে বিটিসিএলের ইন্টারনেট দেয়া হবে: তথ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম দামে বিটিসিএলের ইন্টারনেট দেয়া হবে: তথ্য উপদেষ্টা শিক্ষকের ছোড়া স্কেলের আঘাতে শিক্ষার্থীর চোখ হারানোর অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষকের ছোড়া স্কেলের আঘাতে শিক্ষার্থীর চোখ হারানোর অভিযোগ দুই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে বাউবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ - dainik shiksha দুই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে বাউবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ হলগুলোকে সন্ত্রাসমুক্ত করে ছাড়বো : রাবি উপাচার্য - dainik shiksha হলগুলোকে সন্ত্রাসমুক্ত করে ছাড়বো : রাবি উপাচার্য কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050320625305176