১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল নির্ধারিত সময়ে প্রকাশ করতে পারছে না বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। গত ৫ ও ৬ মে এর লিখিত পরীক্ষা হয়। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়নের সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, ৬০ দিনের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হয়। আজ বুধবার ৬০দিন পূর্ণ হচ্ছে।
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, পরীক্ষকদের অসহযোগিতায় বিধিমালা মেনে নির্ধারিত সময়ে ফল প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে, আগস্ট মাসের শুরুতে ফল প্রকাশের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখে পরীক্ষকরা ওএমআর পাঠানো শুরু করেছেন। ওএমআর এনটিআরসিএতে আসছে। সেগুলো স্ক্যান করে ফল প্রক্রিয়া করা হবে। সব ওএমআর এলে ফল প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হবে। তাতে প্রয়োজন হবে ১০ থেকে ১২ দিন।
এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, পরীক্ষকরা খাতা দেখে ওএমআর পাঠালে আমরা ফল প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করবো। আমাদের সিস্টেম এনালিস্ট নতুন। তিনি ঢাকা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড গিয়ে কিছু কাজ শিখে আসবেন। তাকে সহযোগিতা করতে আমরা বাইরে থেকেও একজন সিস্টেম এনালিস্ট আনতে চাচ্ছি। আশাকরি ফল প্রক্রিয়ায় বেশি সময় লাগবে না।
নির্ধারিত সময়ে ফল প্রকাশ কেনো করা যাচ্ছে না জানতে চাইলে এনটিআরসিএর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, এনটিআরসিএ বিধিমালা মেনে ফল প্রকাশ করতে চাইলেও আমাদের পরীক্ষকরা সহযোগিতা করছেন না। তাদের অনেকে খাতা ফেলে রেখে হজে চলে গেছেন। বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরাও খাতা দিতে চান না। তারা বড় মানুষ, বারবার লোক পাঠিয়ে ও তদবির করে তাদের কাছ থেকে খাতা আনতে হয়।
জানা গেছে, এর আগেও বিধিমালা মেনে নির্ধারিত সময়ে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়নি। করোনা মহামরির থাবায় সব স্থবির হয়ে যাওয়ায় লিখিত পরীক্ষার এক বছর পর ফল প্রকাশ করা হয়েছিলো।
গত ৫ ও ৬ মে শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজারের বেশি প্রার্থী। গত ৫ মে অনুষ্ঠিত স্কুল ও স্কুল পর্যায়-২ এর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৫৭ হাজার ২৭৪ জন। আর ৬ মে অনুষ্ঠিত কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৪৭ হাজার ৫৬০ জন। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১ লাখ ৫১ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেলেও ১ লাখ ৪ হাজারের বেশি প্রার্থী এ পরীক্ষা দিয়েছিলেন।