দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতি বছরের মতো এবারও অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, যা স্থানীয়ভাবে কলেজ স্কলাস্টিক অ্যাবিলিটি টেস্ট (সিএসএটি) বা সুনোং সিহম নামে পরিচিত। অতি গুরুত্বপূর্ণ এ পরীক্ষা চলাকালীন বেশকিছু পদক্ষেপ নেয় দক্ষিণ কোরিয়া সরকার, যা বরাবরই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়।
জানা যায়, পুরো দেশজুড়ে একযোগে একই সময়ে সিএসএটি পরীক্ষা নেয়া হয়। সকাল ৮টা ৪০ থেকে বিকেল ৫টা ৪০ পর্যন্ত টানা নয় ঘণ্টা ধরে চলে এই ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষার দিন দেশজুড়ে সুনসান নীরবতা বর্জায় রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়, যাতে পরীক্ষার্থীদের মনোযোগে সামান্য বিচ্চুতিও না ঘটে।
সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে দেশটির সরকারি অফিস, আদালত, পুঁজিবাজার ও ব্যাংক পরীক্ষা শুরুর একঘণ্টা পর কার্যক্রম শুরু করে। এছাড়া পাবলিক ট্রান্সপোর্টগুলোর সময়সূচীও বাড়ানো হয়, যাতে যানজটের কোনো সম্ভাবনা না থাকে। এরপরও কোনো কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে যেতে দেরি হলে, পুলিশ তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছে দিতে সহযোগিতা করে।
এদিকে, ইংলিশ লিসেনিং টেস্ট চলাকালীন প্রায় আধঘণ্টা দেশটিতে প্লেন চলাচল পর্যন্ত বন্ধ থাকে, যাতে পরীক্ষার্থীদের মনযোগ বিন্দুমাত্র সরে না যায়। যাত্রীবাহী প্লেন চললেও ১০ হাজার ফুট উপর দিয়ে চালাতে হয়। এবারের পরীক্ষা চলাকালেও বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ১টা ৫ মিনিট থেকে ৩৫ মিনিটের জন্য সারাদেশে সব প্লেন চলাচল বন্ধ ছিল।
দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ১ হাজার ২৮৯টি পরীক্ষা কেন্দ্র ৫ লাখ ৪ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এ সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৩ হাজার কম। আগামী ৯ ডিসেম্বর পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর এটি ছিল চতুর্থ (সিএসএটি)। গত তিন বছর পরীক্ষার্থীদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক থাকলেও এবার পরীক্ষার হলে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ ছিল না।
সূত্র: কোরিয়া জুংআং ডেইলি