বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি এখনও গভীর নিম্নচাপ হিসেবে থাকলেও মধ্যরাতে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গভীর নিম্নচাপ যদি শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্টি হয়, তবে এটির নাম হবে ‘মিধিলি'।
এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তা শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। ঘূর্ণিঝড়টি দেশের ১১টি উপকূলীয় অঞ্চলের ১১টি জেলায় আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে জেলাগুলো হলো— বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, সাতক্ষীরা, খুলনা চট্টগ্রাম ও বাগেরহাট।
প্রতিমন্ত্রী জানান, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল হলে এর বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৬৪ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। এটি সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলেও এটা হবে খুবই দুর্বল ঘূর্ণিঝড়। বাতাসের গতিবেগ ৫০-৭০ কিলোমিটারের মাঝেও থাকবে কি না, সন্দেহ আছে। ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সৃষ্টি হতে না হতে এটি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কারণ ইতোমধ্যে মেঘ চলে আসছে।”
তিনি জানান, বৃষ্টি হলে মেঘ কেটে যায়, আকাশ ক্লিয়ার হয়ে যায়। আসলে শীতের পূর্বশর্তই হল আকাশ ক্লিয়ার থাকতে হবে। সে হিসেবে বলা যায়, এই বৃষ্টির পর হালকা শীত শীত অনুভূতি হতে পারে। তবে দিনাজপুর, রংপুর, পঞ্চগড়সহ প্রান্তিক পর্যায়ে কিন্তু ইতোমধ্যে শীত পড়তে শুরু করেছে।