যশোরে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌতুক দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন তার স্ত্রী, যিনি নিজেও একজন পুলিশ কর্মকর্তা। গুরুতর অবস্থায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত শুক্রবার রাতে যশোর শহরের খড়কি এলাকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহাজাদী আক্তার যশোর সদর কোর্টের জিআরও (পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা) এবং স্বামী পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান ঝিনাইদহ পিবিআইয়ে কর্মরত।
হাসপাতালে ভর্তি এসআই শাহাজাদী আক্তার অভিযোগ করেন, কামরুজ্জামানের সঙ্গে ২০০০ সালে তার বিয়ে হয়। তাদের দুই ছেলে স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করে। যৌতুকের দাবিতে কামরুজ্জামান মাঝেমধ্যেই তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। এ কারণে তিনি যৌতুক আইনে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন। ছুটিতে বাড়ি এসে কামরুজ্জামান ওই মামলা তুলে নিতে চাপ দেন। এছাড়া পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে তার স্বামী তিন বছর আগে দ্বিতীয় বিয়েও করেছেন দাবি করে শাহজাদী আক্তার বলেন, ‘ওই ঘটনার পর আমার ওপর নির্যাতন আরো বেড়ে যায়।’
শাহজাহী আক্তার দাবি করেন, যৌতুকের মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করায় শুক্রবার রাতে কামরুজ্জামান নির্যাতন করেন। পরে ছেলেরা এসে তাকে রক্ষা করেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, এসআই শাহাজাদীকে নির্যাতনের বিষয়ে তারা এখনো কোনো অভিযোগ পাননি। তবে বিষয়টি ‘ডিপার্টমেন্টাল’। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখছেন।
এদিকে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন স্বামী পুলিশ পরিদর্শক কামরুজ্জামান। তিনি দাবি করেন, যে সময় এ ঘটনা দাবি করা হচ্ছে, তখন তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন।
উল্টো স্ত্রী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযোগ করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘তার এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় প্রতিশোধ নিতেই আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উত্থাপন করা হচ্ছে।’ যৌতুকের মামলা প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, এ ধরনের কোনো মামলার খবর তার জানা নেই। এ ঘটনার পরই তিনি জানতে পেরেছেন। আর নিজের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য করতে রাজি হননি।