জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং জোর করে দায়মুক্তিপত্র আদায়ের ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তবে চিঠির বিষয়ে তারা অবগত নন বলে জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে।
বুধবার ইউজিসির এক চিঠিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ থেকে জানা যায় যে, আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনি নিজ বিভাগের একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং জোর করে দায়মুক্তিপত্র আদায় করেছেন। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তা কমিশনকে পত্র পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে পত্রযোগে এবং ইমেইলে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি ‘জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, সিন্ডিকেট সভা ঘেরাও’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযোগের ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তসাপেক্ষে জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এরপর এমন চিঠি দিল ইউজিসি।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জাবিতে শিক্ষক কর্তৃক যৌন নিপীড়নের অভিযোগের ঘটনায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। এই ঘটনায় একদিকে যেমন যৌন নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছে পরিষদ।
জাবির রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) রহিমা কানিজকে ফোন করা হলে তিনি এ ব্যাপারে টেলিফোনে কোনো কথা বলবেন না বলে জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতনসংক্রান্ত অভিযোগ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জেবউননেছা বলেন, আমি এরকম কোনো চিঠির ব্যাপারে জানি না। জাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমকে একাধিবার ফোন করেও যেগাযোগ সম্ভব হয়নি।