শিক্ষকের যৌন হয়রানি থেকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীরা। মাঝেমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নুরুল ইসলামের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ করে তাঁকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এই দাবিতে বুধবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে তারা নুরুল ইসলামের ক্লাস বর্জন করে তাঁর কক্ষে তালা দিয়ে ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তাঁর কক্ষের দরজায় ‘যৌন নিপীড়ক’ লিখে দেয়া হয়। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের কাছে স্মারকলিপিও দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি আরও একবার নিজ কক্ষে ডেকে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে শিক্ষক নুরুলের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ছাত্রী উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। তাঁর বিরুদ্ধে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। এর আগে ২০১৪ সালের মে মাসে আরেক ছাত্রী অভিযোগ করেছিলেন।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে ইনস্টিটিউটের ছাত্রীরা অধ্যাপক নুরুল ইসলামের যৌন হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন। এর আগে বেশ কয়েকবার তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নারী শিক্ষার্থীদের কটূক্তির অভিযোগ ওঠে। অনেকে ভয়ে চুপ থাকায় সব ঘটনা জানা যায়নি। চলতি সপ্তাহে এক ছাত্রীকে তিনি কক্ষে ডেকে যৌন হেনস্তা করেন। তাই তারা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে নুরুল ইসলামের বরখাস্ত চান ও তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত তাঁর একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রাখার দাবি জানান।
স্মারকলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামাল জানান, আগামী সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি তোলা হবে এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রমাণ সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।