দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেছেন, যখনই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে সরে যাই, আমরা সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই না, বৈষম্যহীন সমাজ আনতে চাই না। ঠিক তখনই সবার আগে আঘাত করা হয় শিক্ষায়। শিক্ষায় আঘাত করা হয় কেনো? কারণ শিক্ষার মাধ্যমেই তো একটা মানুষ গড়ে ওঠে। গড়ে ওঠে তার মন, মানসিকতা, মনন সে কি সাম্প্রদায়িক হবে না অসাম্প্রদায়িক হবে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার আয়োজিত 'গৌরবদীপ্ত বিজয়' শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু শরীফ শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট প্রত্যাখান করেছিলেন। কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশনের যে রিপোর্ট সেটা এখনো আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমি নিজেও ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষা কমিশনের কমিটিতে ছিলাম, সেখানেও আমি লক্ষ্য করেছি যে যখনই আমি কোনো উদার অসাম্প্রদায়িকতা নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি তখনই কোনো জায়গা থেকে কোনো অদৃশ্য শক্তি এসে বলেছে যে এটা করলে সেটা হবে ওটা হবে। আমার তরুণ প্রজন্ম ভীরু হলে বাংলাদেশ বেশি দূর যেতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন কলা অনুষদের ডিন ও অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো নাট্যকলা বিভাগের অংশগ্রহণে নাটক মঞ্চায়ন ও নৃত্য পরিবেশনা এবং সংগীত বিভাগের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় সংগীতানুষ্ঠান। পরবর্তীতে আবৃত্তি সংসদ, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে বিভিন্ন পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।