রাতের আঁধারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রায় ৫০ বছরের পুরনো একটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সামনের বিশালাকৃতির ওই কাঠ লিচু গাছটি প্রশাসনকে না জানিয়েই কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের ইমাম মো. ছালাহ উদ্দীনের বিরুদ্ধে। অর্ধশতাব্দী পুরনো গাছ কারো অনুমতি ছাড়া কেটে ফেলার গঠনা খতিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত বুধবার রাত নয়টার পর গাছটি কাটা হয় বলে জানা যায়। সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, বৃক্ষরোপণ ও কর্তন কমিটির সদস্যরা গাছ কাটার স্থান পরিদর্শন করে উপাচার্য ও ট্রেজারারকে বিষয়টি জানান। এ নিয়ে শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
গাছ কাটার কাজ পাওয়া লিটন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বড় হুজুর (সালাউদ্দীন) আমাকে গাছ কাটতে বলেছেন। উনি আমাকে দুই হাজার টাকা ও ডালপালা, লাকড়ি নিয়ে যেতে বলেছেন, বিনিময়ে গাছটি কেটে ফেলতে বলেন। আমি লোকজন নিয়ে সারারাত ধরে গাছ কেটেছি।
জানতে চাইলে মসজিদের ইমাম সালাউদ্দীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মসজিদের টিনের ওপর গাছের ডালগুলো ছিলো। ঝড় হলে অনেক শব্দ হতো। তাই ট্রেজারার স্যারকে বলেছিলাম ডাল কাটতে। তিনি নারিকেল গাছসহ গাছটির ডালপালা কাটতে বলেছিলেন। কিন্তু ডাল কাটতে গিয়ে দেখি ঝড়ে গাছটির গোড়া দুর্বল হয়ে গেছে। তাই মসজিদের দুর্ঘটনার কথা ভেবে গাছটি কাটার জন্য বলেছি। কাউকে না জানিয়ে গাছ কাটা আমার অন্যায় হয়েছে। আমি এ ঘটনায় ক্ষমাপ্রার্থী।
মসজিদের কমিটির সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি নারিকেল গাছের ডালপালা ছাটাইয়ের জন্য বলেছিলাম। গাছ কাটার ব্যাপারে আমাকে জানানো হয়নি। আমি জানতে সঙ্গে সঙ্গেই ইমাম সাহেবের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছি এবং বিষয়টি উপাচার্য মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি সম্পত্তি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য। রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ কাটার অধিকার কারো নেই। গাছ কাটতে হলে কমিটি আছে, তাদের মতামত নিয়েই গাছ কাটতে হবে।