রাস্তায় বাঁশের বেড়া ও গাছের চারা লাগিয়ে কলেজছাত্রীর পরিবারকে প্রায় তিন মাস অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কলেজের পরীক্ষায়ও অংশ নিতে যেতে দেওয়া হয়নি ওই কলেজছাত্রীকে। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের পাবিজুরীপার গ্রামে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ফাঁড়ি পুলিশে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী মরিয়ম ফেরদৌস মনি রাস্তা অবরোধকারী ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন। আদালত বড়লেখা থানার ওসিকে রাস্তার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, বড়লেখা নারী শিক্ষা একাডেমি ডিগ্রি কলেজের অনার্সের ছাত্রী মরিয়ম ফেরদৌস মনির বাবা-মা ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে ২৪ ফেব্রুয়ারি সোয়া ১০ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেন। প্রায় ১২ বছর ধরে বসতবাড়ির দক্ষিণ দিকের অর্ধশত বছরের পুরোনো রাস্তা দিয়ে কলেজছাত্রীর পরিবারসহ আশপাশের লোকজন চলাচল করে। ওই রাস্তায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী ও ইউপি সদস্য সরকারি প্রকল্পে উন্নয়ন কাজ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী জাকির হোসেন, নাজিম উদ্দিন, ফখর উদ্দিন ওরফে কটন আলী, আব্দুস শহিদ, আজাদ আহমদ গংরা কলেজছাত্রীর পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি গাছের চারা রোপণ ও বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। বাধা নিষেধ করলেও তারা তা মানেনি।
শাহবাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর নবগোপাল জানান, আদালতের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।