জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হবে ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে উপপাদ্য করে। এরই মধ্যে উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকের পাশের দেয়ালে পেইন্টিং করেছেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
বৈশাখ উদযাপনের মূল অংশ জুড়েই থাকবে রিকশাচিত্র। শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রতেও তাই দেখা যায় ফুল, মাছ, নৌকা, বাঘ, ময়ূরসহ নানা ধরনের চিত্র। দেশের রিকশায় আঁকা নানা ধরনের চিত্রের মধ্য থেকে আকর্ষনীয় ও দৃষ্টিনন্দন চিত্রগুলোকে উজ্জ্বল রঙে দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া বৈশাখ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রাতেও থাকবে বড় আকৃতির রিকশা পেইন্টিং।
এ বিষয়ে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী পরমা দাস বলেন, এবারে বৈশাখ উপলক্ষে চারুকলা অনুষদের পক্ষ থেকে আমরা এই পেইন্টিং করেছি। ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত রিকশা চিত্রকে মূল ভূমিকায় রেখে দেয়ালে পেইন্টিং করা হয়েছে। শোভাযাত্রায়ও রিকশা পেইন্টিংয়ের বিভিন্ন দিক ফুটিয়ে তোলা হবে।
আরেক শিক্ষার্থী নাঈম মৃধা বলেন, আমরা পেইন্টিংইয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করি না। কিন্তু রিকশা পেইন্টিংয়ে বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙ যেমন অরেঞ্জ, পিংক, কাচা সবুজ বা লাল রঙ ব্যাবহার করা হয়। সেজন্য আমরা এবার পেইন্টিংয়ে এসব রঙও ব্যবহার করেছি। এছাড়াও রিকশাচিত্রে আমরা নায়ক-নায়িকা, বাঘ, মাছ, ময়ূর বা ফুলের ছবিও দেখি। এগুলোর মধ্য থেকে আমরা দৃষ্টিনন্দন চিত্রগুলোকেই ফুটয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন মোহা. আলপ্তগীন বলেন, ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সেজন্য রিকশাচিত্রের যতো মোটিভ আছে সেগুলো নিয়েই দেয়াল পেইন্টিং করা হয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রাতেও বড় আকৃতির রিকশা পেইন্টিং থাকবে।