বাংলাদেশের ৪৩টি জেলা বর্তমানে রেলওয়ে সংযোগে যুক্ত আছে। তিনটি নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরো পাঁচ জেলা। প্রকল্পগুলো উদ্বোধন হলে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যেই দেশের মোট ৪৮টি জেলা রেলওয়ে সংযোগের সঙ্গে যুক্ত হবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্প ও দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প চলতি অক্টোবর মাসেই উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এই তিনটি প্রকল্পই মূলত নতুন করে পাঁচ জেলায় রেলপথ বিস্তার করছে। যার ফলে মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর, কক্সবাজার এবং বাগেরহাট জেলার বাসীন্দারা সরাসরি নিজ জেলা থেকে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন।
এদিকে এই পাঁচ জেলা রেলওয়ে সংযোগে যুক্ত হওয়ার পর বাকি থাকবে শেরপুর, মানিকগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, মাগুরা, নড়াইল, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি জেলা। আর একমাত্র বিভাগ হিসেবে বরিশালের ৬টি জেলাতেও (বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি) রেলপথ নেই। রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে আগামী ২০৪৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রেলওয়ে সংযোগের বাইরে থাকা ১৬টি জেলাকেও অন্তর্ভুক্ত করতে চায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।
দেশের প্রতিটি জেলায় রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা প্রসঙ্গে সম্প্রতি রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, মোংলা-খুলনা রেলপথটি শুধু সারাদেশের সঙ্গে নয়, আন্তর্জাতিক রেল রুট হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হবে। অন্যদিকে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পুরোটা উদ্বোধন হলে যুক্ত হবে নড়াইল। আর মধুখালি-মাগুরা রেলপথের উদ্বোধন হলে নতুন করে যুক্ত হবে মাগুরা জেলা। তারপর ধীরে ধীরে রেলওয়ের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে যুক্ত হবে বাকি জেলাগুলো। এসব জেলাকে রেলপথে সংযুক্ত করতে বিভিন্ন প্রকল্পের সমীক্ষার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মাধ্যমে প্রথম ধাপে যুক্ত হবে সাতক্ষীরা, বরিশাল, রাঙ্গামাটি, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও মেহেরপুর জেলা।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ৪৩টি জেলায় রেলপথ রয়েছে। বর্তমানে যেসব প্রকল্পের সমীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে, সেসব প্রকল্পের আওতায় রেলপথ নির্মিত হলে ৮টি জেলা রেল সংযোগের আওতায় আসবে। এই ৮ জেলা হচ্ছে- সাতক্ষীরা, বরিশাল, রাঙ্গামাটি, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও মেহেরপুর। অপরদিকে মানিকগঞ্জ জেলায় রেলপথ নির্মাণের সমীক্ষা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।