বিএনপি ও জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রোববার (৩০ জুলাই) সারা দেশের সব জেলা, মহানগর, থানা ও ওয়ার্ডে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে আওয়ামী লীগ।
শনিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব জেলা, মহানগর, থানা ও ওয়ার্ডে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিল করবে আওয়ামী লীগ। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এসব বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী বিরুদ্ধে আমাদের এই কর্মসূচি নির্বাচন পর্যন্ত চলমান থাকবে।
তিনি বলেন, পরিস্কার বলতে চাই বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস আবার শুরু হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু্র সৈনিক, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী চুপ করে থাকতে পারে না। আমাদের দায়িত্ব আমরা পালন করবো। নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবো। অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধ করবো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এটাই করতে চেয়েছিল গতকাল। কিন্তু আমাদের শক্ত অবস্থানের কারণে কিছু করতে পারেনি। এসময় শুক্রবার (২৮ জুলাই) যুবলীগ সেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সমাবেশের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, নেত্রী গণজাগরণের ঢেউ প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কাদের বলেন, তারেক জিয়া প্রতিনিয়ত আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করছে। প্রতিনিয়ত আদালত অবমাননা করছে। সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্টকে গালিগালাজ করছে। কালকে তো তারেক এমনও বলেছে একটা লাশ পরলে দশটা লাশ পড়বে। লাশ ছাড়া সে কথা বলে না, টাকা ছাড়া সে কথা বলে না। প্রকাশ্যে বলে আন্দোলন করো, টাকার অভাব হবে না! তারেক কি আইনের উর্ধ্বে? তাদের কথা শুনলে মনে হয় তারা আইন মানে না। আইন নিয়ে কটাক্ষ করে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে তারা অগ্নি সন্ত্রাস শুরু করেছে। মাতুয়াইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘাত করে চারটি বাসে আগুন দেয়। সেখানে থাকা পুলিশ ভ্যানে হামলা চালায়, ভাংচুর করে। আরও গাড়ীতে হামলা ও ভাংচুর করে। মোট সাতটি বাসে হামলা চালায়, ভাংচুর করে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের আশঙ্কাই সত্যি হলো- বিএনপির এক দফা আন্দোলন হলো অগ্নিসন্ত্রাসের আন্দোলন।
এর আগে বিকেলে জরুরি সভা শুরু হয়। সভায় আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের শীর্ষ নেতারা অংশ নিয়েছেন।
জরুরি সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপপ্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনিবাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজি, মারুফা আক্তার পপি, তারানা হালিম, অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।
এ ছাড়া শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ উপস্থিত রয়েছেন।
জরুরি সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকী, সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সরোয়ার ডেইজি, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।