দেশে প্রথমবারের মতো উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের কলেজগুলোর র্যাঙ্কিংয়ের উদ্যোগ নেয়ায় শিক্ষা বিষয়ক পরিপূর্ণ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদ সভাপতি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান। এ সাহসী উদ্যোগ নেয়ায় প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক মাজহারুল হান্নান বলেন, আসলে বাংলাদেশে এ ধরনের কাজ এই প্রথম। শিক্ষা বা শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে ৫০ বছরের মতো জড়িত আছি। এ ধরনের কার্যক্রম আগে কখন ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান সম্পর্কে র্যাঙ্কিং করার এ উদ্যোগকে সাহস বললে ভুল হবে, এটা দুঃসাহস। এজন্য দৈনিক শিক্ষা ও দৈনিক আমাদের বার্তাকে আমি সাধুবাদ জানাই। তাদের এ উদ্যোগ ইতিহাস হয়ে থাকবে।
গত শুক্রবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত দৈনিক শিক্ষাডটকমের উদ্যোগে কলেজ র্যাঙ্কিং-২০২৩ এর প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আসলে কোনো এক জায়গা থেকে শুরু করতে হবে আমাদের। আমাদের স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে গেছি। কাউকে আমাদের নতুন বা ছোট বলার অবকাশ নেই। আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারতেও ইনস্টিটিউশনগুলোতে র্যাঙ্কিং করা হয়। আমাদের এখানে যে কাজটি সরকারিভাবে করা উচিত ছিলো। এটি বেসরকারিভাবে দৈনিক শিক্ষাডটকম করলো, যা অসাধারণ। তারা নিজেরাও বলছে এরকম একটা কাজ করতে গেলে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। সমালোচনা তো হবেই। কিন্তু তাই বলেতো আমাদের বসে থাকলে চলবে না।
তিনি বলেন, আজকের এ সভার মাধ্যমে কিন্তু সব কিছু সমাধান হয়ে যাবে না। এটার মাধ্যমে শুরু হলো। যা এখন চলবে। অর্থাৎ দৈনিক শিক্ষা মাঠে বল নামিয়ে দিলো, এই খেলা এখন চলবে। চলতে হবে, দরকার আছে এটা।
তিনি বলেন, এখানে নিরপেক্ষতা বা গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু এরকম প্রশ্ন আসতেই পারে। কিন্তু দৈনিক শিক্ষাডটকম ইতোমধ্যে এক যুগ পার করেছে। এক যুগে শিক্ষা ক্ষেত্রে তাদের যে ভূমিকা তারা রেখেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কারণ তারা এমনভাবে সংবাদগুলোকে আমাদের সামনে তুলে ধরে, নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করে। যে কারণে পত্রিকাটি একটি ভাবমূর্তি তৈরি করতে পেরেছে। ইমেজ তারা অলরেডি ক্রিয়েট করে ফেলেছে। যে প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে একটা ইমেজ তৈরি করে ফেলেছে তারা চাইবে না কোন কারণে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে। তারা চেষ্টা করবে যেন গবেষণা নিরপেক্ষ হয়, গ্রহণযোগ্য হয়। এজন্য তারা চেষ্টা করেছে বলে আমার ধারণা। তবে হ্যাঁ সীমাবদ্ধতা তো আছেই। সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে তারা যে প্রচেষ্টা নিয়েছে সেটাকে আমি সাধুবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, তারা যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছে ঠিকই আছে। কিন্তু আমি বলবো এটা আর একুট উন্নত করা দরকার। যেমন কোনো প্রতিষ্ঠানে পাবলিকেশন আছে কিনা এ প্রশ্নটি আমি এখানে পাইনি। একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিনিমাম ইয়ারলি একটা পাবলিকেশন তো থাকতে হবে। একটা প্রতিষ্ঠানকে নাম্বারিং করার জন্য এটা একটা প্রশ্ন থাকতে পারত।
তিনি বলেন, উদ্যোগটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সময়োপযোগী বললে ভুল হবে বরং বিলম্বে হয়েছে, তারপরও হয়েছে, এজন্য সাধুবাদ জানাই। এটাকে আরো ফলপ্রসূ করার জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এটা আমাদের সবার চোখ খুলে দিলো। এরকম কাজ আরো হওয়া উচিত। শিক্ষাঙ্গনের জন্য এরকম কর্মকাণ্ড থাকা উচিত। কারণ আমরা শিক্ষকরা বুঝতে পারবো আমরা কোথায় আছি। আমরা যদি নিজের অবস্থা সম্পর্কে না জানতে পারি তাহলে এগোবো কি করে।
সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আলাদা র্যাঙ্কিং করার উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব প্রতিষ্ঠানকে একইভাবে মাপা হয়েছে। যা ঠিক না। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব সুযোগ-সুবিধা পায়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে তার সিকি ভাগও নাই। সরকারি ও বেসরকারিকে আলাদাভাবে করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় কলেজ র্যাঙ্কিং মাইলফলক। যেটা সরকারের করা উচিত ছিলো। কিন্তু সেই কাজটা বেসরকারি পর্যায়ে দৈনিক শিক্ষাডটকম ও দৈনিক আমাদের বার্তা করেছে। এটা কিন্তু ১০০ বছর কিংবা ২০০ বছর পরে লেখা থাকবে। কারণ এটাই শুরু। ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনটি লিপিবদ্ধ করে রাখা হবে। এই কাজের জন্য ইতিহাসের পাতায় দৈনিক শিক্ষাডটকম সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের বার্তার প্রধান সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান কৃতিত্বের দাবিদার হবেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।