দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় রাগের বশে একসঙ্গে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৪৫ জন শিক্ষার্থীকে লাঠিপেটা করে জখমের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আফতাবগঞ্জ ফিজু সেমি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উম্মে কুলসুম লিপির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী অভিভাবক।
এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. মাছুমা আক্তার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৪ নভেম্বর উপজেলার আফতাবগঞ্জ ফিজু সেমি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ইরামসহ (১১) প্রতিষ্ঠানটির তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করতে বলা হয়। কিন্তু কেউ শপথবাক্য পাঠ করতে না পারায় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উম্মে কুলসুম লিপি উত্তেজিত হয়ে ক্লাসে থাকা সব শিক্ষার্থীকে বেদম লাঠিপেটা করেন।
এতে ইরাম মোহাম্মদের বাঁ হাতের মাংসপেশিতে ক্ষত সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আ. রব (১০) ও অহনা (৯) এবং চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী তানজিম হোসেনের (১২) জখম হয়েছে বলে দাবি তাদের অভিভাবকদের।
ইরাম মোহাম্মদের বাবা তাসনিম আলম বলেন, ‘দিন দিন ছেলের হাতের ক্ষত বাড়ছে। প্রচণ্ড ব্যথায় কান্নাকাটি করছে, স্কুলের যাওয়ার কথা বললে আঁতকে উঠছে। কোমলমতি শিশুদের এভাবে গণহারে লাঠিপেটা করে কীভাবে?’ এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটার কথা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষিকা উম্মে কুলসুম লিপি বলেন, ‘সেদিন বাচ্চারা শপথবাক্য পাঠ করতে না পারায় আমি রাগের বশে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৪৫ শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে মেরেছি। এটি আমার অত্যন্ত ভুল হয়েছে, এ জন্য আমি অভিভাবকদের কাছে সরি বলেছি। তারপরও যদি কোনো অভিভাবক এ বিষয়ে অভিযোগ করে, তাহলে তো আমার করার কিছু নেই। এতে আমার যা শাস্তি হয় হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে। অভিযুক্ত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’