‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতি বিজড়িত বিদ্যাপীঠ ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে স্থাপিত শহীদ শেখ রাসেলের ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, কেক কাটা, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন আয়োজন এর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে।
বুধবার সকালে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ শেখ রাসেলের শিশু জীবনের ওপর আলোকপাত করে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য শহীদ শেখ রাসেলের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঘাতকরা শিশু রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে। শেখ রাসেল তখন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতি রক্ষায় আমরা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে তাঁর ম্যুরাল স্থাপন করেছি। এই ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের জন্য বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জমায়েত হয়েছেন। শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতি বিজড়িত এই স্কুল ক্যাম্পাস এক তীর্থভূমিতে পরিণত হয়েছে।
ঢাবি উপাচার্য আরো বলেন, অসাধারণ কিছু গুণের অধিকারী ছিলেন শিশু রাসেল। তিনি অত্যন্ত সৎ, বিনয়ী, স্পষ্টভাষী, শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, বন্ধুবৎসল ও অনন্য মানবিক মূল্যবোধের অধিকারী ছিলেন। শহীদ রাসেলের এই মূল্যবোধ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। শহীদ শেখ রাসেলের মূলবোধ ধারণ করে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য উপাচার্য নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, শিশু রাসেলকে যে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ ধরনের নিষ্ঠুরতার পুনরাবৃত্তিরোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
এসময় ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস সেলিনা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষক আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ফওজিয়া বানু, সহপাঠী নাসরিন ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ ও মুনতাহাসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।