চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের ছাদে গাছের ধাক্কায় ১৫ শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় রাতভর বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত দেড়টা পর্যন্ত চলে এই বিক্ষোভ। এ সময় উপাচার্যের বাসভবনের তিনতলা ভবনের প্রত্যেকটি কক্ষে ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা।
পরিবহন দপ্তরে ২২টি বাস, একটি মোটরসাইকেল ও ১৬টি কার ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ভাঙচুর হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাব ও জিরো পয়েন্টের পুলিশ বক্সেও।
এই বিক্ষোভে জামায়াত-বিএনপির সরকারবিরোধী এজেন্ডা আছে বলে সাংবাদিকদের বক্তব্য দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার।
রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে স্লোগান দিতে দিতে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। মধ্যরাত ১টার দিকে দেখা যায় আন্দোলনের মাঝে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ‘সিক্সটি নাইন’ ও ‘বিজয়’ গ্রুপের মাঝে হাতাহাতি ঘটে। জিরো পয়েন্ট এলাকায় এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার কিছু সময় পরেই বন্ধ হয়ে যায় বিক্ষোভ।
রাতভর এই বিক্ষোভে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন তাদের প্রতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমবেদনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বহন করবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের নামে ভাঙচুর করা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।’
ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা আছে উল্লেখ করে ড. নূরুল আজিম বলেন, ‘উপাচার্যের বাসভবন, পুলিশ কক্ষ, শিক্ষক ক্লাব ও পরিবহন দপ্তরে যে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে তা আমার সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয়। এখানে জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নের ব্যর্থ চেষ্টা ছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে তাদের এই এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’