শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) মূল ফটককে ‘শহীদ রুদ্র তোরণ’ নামকরণের ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে আন্দোলনকর্মীরা জমায়েত হয়ে এ ঘোষণা দেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শাবি সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিবের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের এলাকা, দোকান ও বাসাবাড়িতে আন্দোলন এবং দাবির পক্ষে গণসংযোগ করে লিফলেট বিতরণ করেন তারা।
রুদ্র সেন শাবির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স (সিইপি) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৮ জুলাই দুপুরে রুদ্র কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেন। এ সময় তিনি আহত হন। পরে বন্ধুদের সঙ্গে মেসে যান।
এদিকে বিকেল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত আন্দোলনকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। আতঙ্কে সন্ধ্যায় মেস ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যাবার সময় খাল পার হতে গিয়ে পানিতে ঢুবে মারা যান রুদ্র। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে শহীদ হিসেবে ঘোষণা করেন।
আজ দুপুর আড়াইটার দিকে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী শাবির মূল গেটে ‘শহীদ রুদ্র তোরণ’ লেখা সংবলিত একটি প্ল্যাকার্ড বেধে দেন। এরপর সেখানে কয়েকজন বক্তব্য দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন, সমাজকর্ম বিভাগের আজাদ শিকদার, গণিত বিভাগের হাফিজুল ইসলামসহ আরও অনেক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবি সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে রুদ্র সেন শহীদ হয়েছেন। আমরা তার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের নামকরণ ঘোষণা করছি। কাগজের এই লেখা কেউ ছিঁড়ে ফেললে আমরা আবারও রক্ত দিয়ে লিখে রেখে আসব একই নাম। রুদ্র মরে গিয়েও আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে চিরকাল। সারা দেশের শহীদদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না। যদি ছাত্র সমাজের নয় দফা দাবি মেনে নেওয়া না হয়; আমরাও শহীদদের রক্তের ওপর দিয়ে কোনো সংলাপে যাব না।’