শারীরিক নির্যাতন : সেই শিক্ষক পুনঃযোগদানে ভয়ে স্কুলে আসছে না শিক্ষার্থীরা - দৈনিকশিক্ষা

শারীরিক নির্যাতন : সেই শিক্ষক পুনঃযোগদানে ভয়ে স্কুলে আসছে না শিক্ষার্থীরা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি |

টাঙ্গাইলের সখীপুরে শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে বদলি শিক্ষক ফের একই বিদ্যালয়ে যোগদান করায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেছেন। উপজেলার শালগ্রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি এ অভিযোগ দেয়া হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শালগ্রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইদ্রিস আলীর ব্যক্তিগত ক্ষোভে নিষ্পাপ শিক্ষার্থীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। মধ্যযুগীয় কায়দায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কানে দুই কলম দিয়ে চাপ দেয়া, দুই শিক্ষার্থীর মাথা ধরে মাথায় মাথায় ডুষা দেয়া, বেত্রাঘাত তো আছেই। এমন অভিযোগে গত ১৬ আগস্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে হারিঙ্গাচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করে দেন। কিন্ত কিছুদিন যাবত ফের ওই শিক্ষক পূর্বের স্কুলেই যোগদান করে পাঠদান করছেন। এমন অবস্থায় ওই শিক্ষককের ভয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমে গেছে। এলাকায় অভিভাবকদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ, বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্তণ, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলগামী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সদস্য ও অভিভাবকরা।

স্থানীয় আমেনা নামে এক অভিভাবক বলেন, ওই মাস্টার তো সময়মতো স্কুলেও আসে না। তার নির্যাতনের ভয়ে তামিম, তায়েবা, মামুন মিয়া, আহাদসহ আরো কয়েকজন শিক্ষার্থীরা অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছে। এই শিক্ষক এই বিদ্যালয়ে থাকলে ছাত্র-ছাত্রী শূন্যকোঠায় দাঁড়াবে। 

শালগ্রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বিভিন্ন অভিযোগে উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তাদের মৌখিক আদেশে অভিযুক্ত শিক্ষক ইদ্রিস আলীকে অন্য স্কুলে বদলি করা হয়েছিল। গত ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে মৌখিক বদলি বাতিল হয়। পরে সে আবার এই বিদ্যালয়ে আসায় এলাকায় অভিভাবকদের মাঝে আবার ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। ওই শিক্ষকের ভয়ে আবার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের আসা বন্ধ করেছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক ইদ্রিস আলী বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। সিনিয়র শিক্ষকের বদলে জুনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করায় আমি প্রতিবাদ করেছি। এই বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আমার মৌনদ্বন্দ্ব হয়েছে। সে এই বিষয়টিকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার করছেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাফিউল ইসলাম বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে হারেঙ্গার চালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছিলো। গত ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে মৌখিক বদলি বাতিল হয় তাই পূর্বের কর্মস্থলেই যোগদান করেন ওই শিক্ষক। এই শিক্ষক নিয়ে ফের কোন অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যেসব চাকরির পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha যেসব চাকরির পরীক্ষা স্থগিত কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে সরকার - dainik shiksha কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে সরকার উত্তরায় গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত - dainik shiksha উত্তরায় গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত ছাত্রলীগ আক্রমণ করেনি, গণমাধ্যমে ভুল শিরোনাম হয়েছে - dainik shiksha ছাত্রলীগ আক্রমণ করেনি, গণমাধ্যমে ভুল শিরোনাম হয়েছে সহিংসতার দায় নেবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন - dainik shiksha সহিংসতার দায় নেবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জবিতে আজীবনের জন্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আশ্বাস প্রশাসনের - dainik shiksha জবিতে আজীবনের জন্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আশ্বাস প্রশাসনের মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের কারণ জানালেন পলক - dainik shiksha মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের কারণ জানালেন পলক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002816915512085