জীবননগরে শিক্ষক সুজন আলীর গলিত লাশ উদ্ধারের দুদিনের মাথায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন মেদিনীপুর গ্রামের মৃত আনার মোল্লার ছেলে আবদুর রাজ্জাক, শাখারিয়া গ্রামের মৃত ওয়াদ আলীর ছেলে মজিবর রহমান ও মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে মহিউদ্দিন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাবিবপুর গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে সুজন আলী জীবননগর পৌর কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। গোপালনগর গ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করতেন। ৬ অক্টোবর রাতে সুজনকে আব্দুর রাজ্জাক, মজিবর রহমান, মহিউদ্দিন মিলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গোয়ালপাড়া মোড়ে যান। সেখান থেকে তাকে মাঠের ভেতরে নিয়ে তিনজন পালাক্রমে বলাৎকার করে। একপর্যায়ে সুজন অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারান। সুজন মারা গেছেন ভেবে রাজ্জাক বাড়ি থেকে নিড়ানি এনে সুজনের বুকে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর তারা পার্শ্ববর্তী ঘাড়কাঠী বিলের কচুরিপানার ভেতরে লাশ লুকিয়ে রেখে চলে যান। এদিকে শিক্ষক সুজন নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর পরিবারের সদস্যরা থানায় একটি জিডি করেন। ২৬ অক্টোবর দুপুরে ঘাড়কাঠী বিলের কচুরিপানার ভেতর থেকে গলিত লাশ উদ্ধার হয়। ভাঙা পায়ে থাকা সার্জিক্যাল রড দেখে লাশটি সুজনের বলে তার বড় ভাই আব্দুস সবুর শনাক্ত করেন।