দৈনিক শিক্ষাডটকম, নাটোর: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় হ্যান্ডকাপ পরিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষককে আহত করার ঘটনায় দুই পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লোজড করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক বাদল উদ্দিন রহিমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমীন নেলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা দুই কনস্টেবল হলেন- মো. সজিব হোসেন এবং মো. আসাদুজ্জামান।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহমুদা শারমীন নেলী বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, এক স্কুল শিক্ষকের কাছে মাদক রয়েছে এমন খবর পেয়ে দুই পুলিশ সদস্য ওই শিক্ষককে সার্চ করে। ওই মুহূর্তে শিক্ষককে মেরে আহত করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই আমি নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে গিয়ে আহত শিক্ষকের সাথে কথা বলেন এবং প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করি। এসব তথ্য পুলিশ সুপারকে (এসপি) জানালে রাতেই তিনি দুই পুলিশ কনস্টেবলকে ক্লোজড করেন।
মাহমুদা শারমীন নেলী বলেন, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমাদের পেশাদারিত্বের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আইন প্রয়োগের যতটুকু ক্ষেত্র রয়েছে তার বাহিরে যাওয়ার ও সুযোগ নেই। দুই পুলিশ সদস্য তাদের দায়িত্বের বাহিরে গিয়ে যদি কোনো কর্মকাণ্ড করে থাকেন সে কারণে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্তে তারা যাতে কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে তাই তাদের ক্লোজড করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠান নেবে না। এখন পর্যন্ত স্কুল শিক্ষক লিখিত অভিযোগ না করলেও আমরা আমাদের বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
শিক্ষক বাদল উদ্দিন বলেন, রোববার বিকাল ৪টায় স্কুল ছুটির পর মোটরসাইকেলে নাটোর শহরের বাসায় ফিরছিলাম। পথে ক্ষিদ্র মালঞ্চি এলাকায় সাদা পোশাকে থাকা তিন ব্যক্তি আমাকে গতিরোধ করে। এরমধ্যে সজিব খানসহ দুজন নিজেদের পুলিশ কনস্টেবল পরিচয় দিয়ে নানাভাবে আমাকে নাজেহাল করতে থাকে। একপর্যায়ে আমার হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দুই পায়ে লোহার পাইপ দিয়ে আমাকে তারা বেধড়ক পেটায়। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বিরোধে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা আহত শিক্ষকের।