সালিশি বৈঠকে অংশ নেয়ার জেরে বরগুনার ইউনুস আলী খাঁন ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সালামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত রিয়াজ মুন্সি একাধিক মাদক মামলার আসামি। শুক্রবার সকালে আমতলী শহরের জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে মারধরের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে কলেজ শিক্ষক আব্দুস সালাম শহর থেকে ওয়াবদা এলাকার বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আমতলী শহরের জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে শিক্ষক আব্দুস সালামকে একা পেয়ে রিয়াজ মুন্সি তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ওই শিক্ষকের শরীরের বিভিন্ন স্থান গুরুতর জখম হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সালাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দেড় মাস আগে রিয়াজ মুন্সি ও ফারুক হাওলাদারের মধ্যে জমি-জমা বিরোধে সালিশ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে আমাকে সালিশ মানা হয়। ওই সালিস বৈঠকে আমাকে যেতে নিষেধ করে রিয়াজ মুন্সি। কিন্ত ওই বৈঠকে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন রিয়াজ মুন্সি। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার আমাকে মারধর করেন। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, রিয়াজ মুন্সি কলেজ শিক্ষক আব্দুল সালামকে বেধড়ক মেরেছে।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে রিয়াজ মুন্সি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষক আব্দুস সালাম আমার আত্মীয়। জমিজমার বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মেহেরিন আশ্রাফ বলেন, আহত শিক্ষককে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।