আর্থিক অনিয়মে জড়িত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অবসর ও কল্যাণ সুবিধা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও বাস্তবায়ন কমিটি শুনানির মাধ্যমে এ সব অভিযোগ নিষ্পত্তি করে থাকে। কিন্তু শুনানি হওয়ার আগেই অনেক অভিযুক্ত শিক্ষক অনিয়মের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে অবসরে গিয়ে আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকেন। এর ফলে অভিযোগ সংক্রান্ত কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে মনে করছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এমন পরিস্থিতিতে অবসর ও কল্যাণ সুবিধা স্থগিত রাখার কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও বাস্তবায়ন কমিটি এ সিদ্ধান্ত নেয়।
বিধি অনুযায়ী পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর পর্যায়ক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
পরিদর্শন করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আনীত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের জবাব, জেলা শিক্ষা অফিসার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠান।
পরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাওয়া জবাব ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও বাস্তবায়ন কমিটিতে শুনানীর মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। কিন্তু কমিটিতে শুনানির মাধ্যমে নেয়া সিদ্ধান্ত অনেক ক্ষেত্রে ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয় না।
দেখা যায়, নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ফেরতযোগ্য অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়েই অভিযুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা অবসর নিয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। ফলে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কার্যক্রমের উদ্দেশ সফল হয় না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করেন, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ নিষ্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবসর সুবিধা বোর্ড এবং কল্যাণ ট্রাস্ট-এর সুযোগ সুবিধা স্থগিত রাখা প্রয়োজন।
এমন পরিস্থিতিতে, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীর অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অবসর সুযোগ-সুবিধা স্থগিত রাখা এবং এ অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির অব্যাহতিপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে অবসর সুবিধা এবং কল্যাণ ট্রাস্টের সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।