শিক্ষকদের নিরাপত্তা ও হেনস্থা বন্ধের দাবিতে উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের ৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকাল ৪টায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জরুরি সভা শেষে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
কিশোরগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় অফিস কক্ষে বেলা ২টায় এ সভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম। সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি মুকুল হোসেন, সহ সভাপতি একেএম দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল মালেক, মহির উদ্দিন বসুনিয়া, জামিয়ার রহমান, রেদওয়ানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল মিয়া, মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।
সভা শেষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম শিক্ষকদের নিরাপত্তা ও হেনস্থা বন্ধের দাবিতে কিশোরগঞ্জ উপজেলার সব স্কুল, কলেজ এবং মাদরাসা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, শিক্ষকদের নিরাপত্তা ও হেনস্থা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে। তবে নিরাপত্তার আশ্বস্ত পেলে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু করবেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি গোলাম আজম জানান, কিছু অসাধু চক্র স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কমলমতি শিক্ষার্থীদের ফুঁসলিয়ে ও ব্যবহার করে উপজেলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের ওপর অন্যায়, অবৈধভাবে নির্যাতন, অপমান, হেনস্থা এবং জোরপূর্বক পদত্যাগের চেষ্টা করছেন। এর ফলে গত ২৭ আগস্ট আমরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসুমী হক বলেন, এ ব্যাপারে অফিসিয়ালি কেউ আমাকে কিছু অবগত করেনি।