শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে বিভাগীয় প্রার্থীদের আবেদনের ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১০ বছরের অভিজ্ঞতার শর্ত নির্ধারণ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। রিট আবেদনকারীর আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে নির্দেশনা দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ২০ জন শিক্ষকের দায়ের করা রিটের শুনানিতে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। রিটকারীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
রুলে দুই বছরের অভিজ্ঞতা ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে বয়সসীমা শিথিল করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে বিভিন্ন পদে রিটকারী ও অন্য শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদন করার সুযোগ কেন দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, সম্প্রতি সরকার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৩ প্রণয়ন করে। যেখানে প্রয়োজনীয় সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়নি এবং সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদের জন্য আবেদনের সুযোগ রাখা হলেও সেখানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে ১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেখান পূর্বে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে কোনো শিক্ষক দুই বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার পদের জন্য আবেদন করতে পারতেন।
যদিও সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও রাজস্ব খাতে সৃষ্ট পদে ন্যূনতম দুই বছর স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে চাকরিরত থাকার পর বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রিটকারী শিক্ষকগণ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আবেদন দাখিল করেন। কিন্তু কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন তারা।