সরকার দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার স্বার্থে বিবেচনা করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষকদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে হয় না। কেবলমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সারা দেশের শিক্ষকদের মৌখিক নির্দেশে সারাদিন স্কুলে থাকতে হয়। এমন সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের নেতারা।
সংগঠনটি প্রশ্ন রেখেছে, কর্মহীন, শিক্ষার্থী ছাড়া কার স্বার্থে মৌখিক নির্দেশে প্রাথমিকের শিক্ষকদের স্কুলে এনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা হুমকির দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ মনে করেন, মৌখিক নির্দেশনার মাধ্যমে শুধুমাত্র প্রাথমিক শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে এনে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। তাছাড়া শিক্ষকদের মাঝে সরকার সম্পর্কে ভ্রান্ত মনোভাব সৃষ্টি করছে?
বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ অবিলম্বে শিক্ষকদের স্কুলে আসার মৌখিক নির্দেশনা বাতিল করে এ কার্যক্রমের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।
সংগঠনের বিবৃতিদাতারা হলেন সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, সুবল চন্দ্র পাল, সাখাওয়াত হোসেন- কুমিল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উল্যা- লক্ষ্মীপুর, কামরুল ইসলাম বাচ্চু- ময়মনসিংহ, সামসুদ্দিন বাবুল- লক্ষ্মীপুর, খোরশেদ আলম- নরসিংদী, সাজিদা বেগম- হবিগঞ্জ, এম.এ ছিদ্দিক মিয়া- সাধারণ সম্পাদক, জাহানারা বেগম, ময়মনসিংহ।