শিক্ষকরাও এনসিটিবিতে পদায়ন পেতে পাগল: অধ্যাপক মামুন - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষকরাও এনসিটিবিতে পদায়ন পেতে পাগল: অধ্যাপক মামুন

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারাও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) পদায়ন পেতে পাগল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন। 

সোমবার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে দেয়া একটি পোস্টে তিনি এ কথা বলেন তিনি।

অর্ন্তবর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিনের দেয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘৫০০ শিক্ষক ভিসি হতে চান, বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ পড়াতে চান না- অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ’ 

তিনি বলেন, এইটা একটা অসাধারণ ঘটনা। বাংলাদেশের আপামর সব মানুষ নিজে প্রশাসক হতে চায় বা আপন কেউ প্রশাসক হলে তাকে ব্যবহার করে দুধের সাধ ঘোলে মেটাতে চায়। বিসিএসেও সবাই প্রশাসক হতে চায়। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকরাও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এনসিটিবিতে পদায়ন পেতে পাগল। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। যে কিনা সদ্য পিএইচডি করে এসেছে এবং মাত্রই অধ্যাপক হয়েছে। এইবার তার দেয়ার পালা। শ্রেণিকক্ষে পড়াবে, ছাত্রদের থিসিস সুপারভাইস করাবে। কেনো জানি আমাদের দেশে পিএইচডি একখান করতে পারলে আর একবার অধ্যাপক হয়ে গেলেই মনে করে এইবার শিক্ষকতার ইতি টেনে রাজনীতি ও প্রশাসনে কীভাবে যাওয়া যায় নজর থাকে সেইদিকে। 

তিনি আরো বলেন, একজন অধ্যাপক কীভাবে প্রভোস্ট কিংবা প্রক্টর হতে চায় এইটা আমার মাথাতেই ঢুকে না। প্রভোস্ট হওয়া মানেতো হোটেলের ম্যানেজার। এই কাজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খ্যাতিমান শিক্ষককে কেনো দায়িত্ব দিতে হবে? এর মাধ্যমে মেধার কত অপচয় বুঝতে পারছেন? প্রক্টর পদতো আরো জঘন্য যেখানে একজন শিক্ষককে মারামারি, ঝগড়াঝাটি মেটানোর মত পুলিশি কাজ করতে হয়। সবাই এইটা হতে চায় কারণ শুনেছি প্রক্টরদের নাকি অনেক ইনকাম। আর প্রভোস্ট হলে একটা বাংলো পায়। 

তিনি আরো বলেন, প্রায় ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার নিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো পদই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রোভিসি-ট্রেজারার পদ, দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি-প্রোভিসি এবং ট্রেজারার পদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের প্রভোস্ট ও প্রক্টর পদ। বুঝতে পারছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কতজন শিক্ষক প্রশাসক পদে নিয়োজিত। এইবার আবার ভালো গবেষক দেখে ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো শিক্ষক প্লাস গবেষকদের একটা বড় অংশই এখন প্রশাসক। এরা শিক্ষকতা ও গবেষণা থেকে বলা যায় দূরেই থাকবে। কি সাংঘাতিক ব্যাপার না?

ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দশ দিনে আবেদন প্রায় ৬ লাখ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কমিটি ঘোষণা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান - dainik shiksha ধারণা বাড়াতেই পাঠ্যক্রমে তথ্য অধিকার আইন বিষয় যুক্ত: এনসিটিবি চেয়ারম্যান কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ২১তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ - dainik shiksha সুইডেনে স্কলারশিপে স্নাতকোত্তরের সুযোগ পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.003101110458374