সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের মারপিটে স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার বিকালে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া স্কুলছাত্রের নাম রাজ প্রতাপ (১৫)। তিনি ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের হিজলা চন্ডিপুর গ্রামের দ্বীনবন্ধু দাসের ছেলে এবং নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্কুল ভাঙচুর করে এবং শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
স্থানীয়রা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, রাজ প্রতাপ স্কুলে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে জন্মদিন উদযাপন করছিলেন। টিকটকও করেছিলেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক অবকাশ সরকারসহ কয়েকজন শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ডেকে নিয়ে মারধর করেন। এতে প্রতাপ বাড়ি গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েম বলেন, কোনো ছাত্রকে মারপিট করা হয়নি। বকাঝকা করা হয়েছে। স্কুলের নিয়ম ভেঙে তারা শ্রেণির কক্ষের সামনে জন্মদিন পালন করছিল। আমার স্কুলে যেতে দেরি হওয়ায় একজন শিক্ষক আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। পরে আমি স্কুলে গিয়ে খোঁজ নেই। কিন্তু কারো অভিভাবক আসেননি। শুধু প্রতাপের কাকা সেখানে আসলে স্কুলের শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়ে তাকে বকাঝকা করা হয়। শুনছি সে নাকি মারা গেছেন। হয়তো বাড়ি গিয়ে সে আত্মহত্যা করতে পারে।
ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল নাঈম বলেন, আমি যতোদূর শুনেছি স্কুলে জন্মদিন পালন করায় কয়েকজন শিক্ষক প্রতাপসহ তার বন্ধুদের মারপিট করে। এরপর বাড়ি গিয়ে প্রতাপ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। মারপিটের কারণেই সে মারা গেছে।
এঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ ৪ জন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রহমানের সরকারি মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।