নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম রফিকুল ইসলাম শান্ত। তিনি উপজেলার রংশিনপুর আব্দুল হামিদ খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
গতকাল শনিবার কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গত বুধবার তদন্ত প্রতিবেদনটি হাতে পেয়েছি। তদন্তে ওই ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর শ্রেণিকক্ষে থাকা ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের ছাদ থেকে শুঁটকি মাছ আনতে পাঠান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম শান্ত। ওই ছাত্রী বের হলে তিনিও পেছনে পেছনে যান। পরে বিদ্যালয়ের সিঁড়িতে ওই ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে যৌন হয়রানি করেন তিনি।
এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান। পরে শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে কলমাকান্দা থানায় মামলা করা হয়। সেই মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন ওই শিক্ষক।
এ বিষয়ে জামিনে থাকা শিক্ষক রফিকুল ইসলাম শান্ত বলেন, ‘জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক এ মিথ্যা মামলা করেছেন।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।