দৈনিক শিক্ষাডটকম, মুন্সিগঞ্জ : মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে বুধবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন দুই ছাত্রী।
অভিযুক্তের নাম ফেরদাউস হিলাল। তিনি উপজেলার লৌহজং পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
অভিযোগকারী এক ছাত্রী বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক বছরের পর বছর ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করে আসছেন। আমার সহপাঠীও ছোট বোনদের সঙ্গে তিনি সব সময় এমন করেন। এর সুষ্ঠু বিচার চাই। যাতে করে পৃথিবীর কোন শিক্ষক আর এমন অশ্লীলতা না করতে পারে।’
অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে প্রধান শিক্ষক থাকেন। সেই কক্ষের সামনে দিয়ে কোনো ছাত্রী হেঁটে গেলে তাকে তার কক্ষে ডেকে নেন প্রধান শিক্ষক। আমাদের প্রতিবাদের মূল কারণ, আমরা আর এক বছর আছি স্কুলে। পরবর্তী আমাদের ছোট বোনেরা যারা স্কুলে পড়বে, তাদের সঙ্গে যেন এমনটি আর না ঘটে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে ফেরদাউস হিলাল বলেন, ‘এ অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আসলে আয়া–বুয়ারা আমার রুমে থাকে এবং তাদের মেয়েরা আমার রুমে আসত। এর ফলে এক বছর আগে স্কুল কমিটির কাছে আমার বিরুদ্ধে এ রকম মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিল। কিন্তু আমি এ রকম করিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজও কয়েকজন ছাত্রী আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ দাঁড় করেছে–যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ছাত্র-ছাত্রীরা আমার সন্তানের মতো, তাদের তো বিভিন্নভাবে শাসন, স্নেহ করতেই পারি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘দুজন শিক্ষার্থী আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। এরপর আরও কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। এটার সত্যতা পেলে আইনিভাবে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।’