১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ৮ ও ৯ মার্চ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আগামী ৮ মার্চ (শুক্রবার) স্কুল পর্যায় ও স্কুল পর্যায়-২ এর এবং ৯ মার্চ (শনিবার) কলেজ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করতে চাচ্ছে সংস্থাটি। ১৮ লাখ ৬৫ হাজার প্রার্থী প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার অপেক্ষায় আছেন।
সূশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এসএসসি পরীক্ষার শেষ দিকে এ পরীক্ষা আয়োজনে কেন্দ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া গেছে। তবে এ পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর ডিসিদের গ্রিন সিগন্যাল পেলে।
গতকাল সোমবার এনটিআরসিএর পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট শাখার এক সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানায়, এসএসসির লিখিত পরীক্ষার শেষ হবে ১২ মার্চ। তবে এরপরের শুক্র ও শনিবার পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই রোজার আগেই ৮ ও ৯ মার্চ পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষার আগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হলেও প্রায় ১৯ লাখ প্রশ্ন ছাপতে সরকারি প্রেসের সিডিউল পায়নি এনটিআরসিএ। তাই এসএসসির পর এ পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছিলো। তবে রমজানের কারণে এসএসসির শেষ দিকে এ পরীক্ষা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, পরীক্ষার এর থেকে দেরি করলে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে যাবে। কেন্দ্র প্রতিষ্ঠানগুলোও এ সময় পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে পজেটিভ। আমার ডিসিদের বিষয়টি জানিয়ে শিগগিরই চিঠি দেবো।
এনটিআরসিএর পরীক্ষা ও মূল্যায়ন শাখার পরিচালক মো. আবদুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমরা মার্চের শুরুর দিকেই পরীক্ষা নিতে চাই। তবে পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। নতুন চেয়ারম্যান মহোদয় যোগদানের পর হয়তো চূড়ান্ত হবে।
সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ওএমআর শিট ছাপার জন্য টেন্ডার দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওএমআরের নমুনা এনটিআরসিএতে জমা দেয়া হয়েছে। ওএমআর ছাপতে ২০ দিনের মত সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন কর্তারা। এদিকে সরকারি ছাপাখানার পক্ষ থেকে মার্চে শুরুতে প্রশ্ন সরবরাহের বিষয়ে গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া গেছে। ওএমআর শিট ও প্রশ্ন ছাপার কাজ শুরু হচ্ছে শিগগিরই।
জানা গেছে, ২৪টি জেলায় শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। প্রচলিতভাবে শুক্র ও শনিবার এ পরীক্ষা আয়োজন করা হয়। প্রথম দিনে স্কুল পর্যায়- সাধারণ স্কুল-২ এর পরীক্ষা ও দ্বিতীয় দিনে কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা সাধারণত নেয়া হয়ে থাকে।
শিক্ষক নিবন্ধনের আবেদন করা প্রার্থীদের চূড়ান্তভাবে নিবন্ধিত হতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের এ পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয় থেকে ২৫ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন থাকে। দেশের ২৪টি জেলায় প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
আয়োজন করা হবে। প্রিলিমিনারিতে নূন্যতম ৪০ নম্বর পাওয়া প্রার্থী শিক্ষক নিবন্ধনের পরবর্তী ধাপ লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন থেকে শিক্ষক নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতোদিন বিষয়ের ভিত্তিতে প্রার্থীরা নিবন্ধিত হলেও এবার থেকে এমপিও নীতিমালা অনুসারে পদের ভিত্তিতে প্রার্থীদের নিবন্ধিত করা হবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।