১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রায় ২৪ হাজার প্রার্থীকে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে নিয়োগ সুপারিশের জন্য প্রস্তুত করা জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রার্থীদের জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ চলছে। ফেব্রুয়ারি মাসেই তাদের সনদ স্বাক্ষর শেষে জেলায়-জেলায় পাঠানো শুরু করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইস্কাটনে এনটিআরসিএ কার্যালয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কারিগরি সহায়তা দেয়া প্রতিষ্ঠান টেলিটক সংশ্লিষ্টদের এক সভা শেষে কর্মকর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সভা শেষে এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, টেলিটক প্রার্থীদের মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কাজ করছে। এ কাজ শেষ করে তাদের জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ফেব্রুয়ারির শুরুতে তাদের জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এদিকে দৈনিক আমাদের বার্তার প্রশ্নে জবাবে সভায় অংশ নেয়া টেলিটকের কর্মকর্তারাও একই ইঙ্গিত দেন।
এদিকে এনটিআরসিএর পরীক্ষা ও মূল্যায়ন শাখার একটি সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছে, প্রার্থীদের সনদ প্রিন্ট করার কাজ শুরু হয়েছে। কিছু কিছু সনদ প্রিন্ট হয়ে এনটিআরসিএ কার্যালয়ে চলে এসেছে। সনদ স্বাক্ষরের কাজ এখনো শুরু হয়নি।
সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, সব সনদ প্রিন্টের পর তা জেলায় জেলায় পাঠানো শুরু হবে। প্রার্থীদের জেলা শিক্ষা অফিস থেকে সনদ সংগ্রহ করতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে প্রার্থীরা সনদ হাতে পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ২৩ হাজার ৯৮৫ জন প্রার্থী জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে সনদ হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তারা ইতোমধ্যে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভায় পাস করেছেন। বহুল কাঙ্ক্ষিত এ সনদ পাওয়া ও জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের দীর্ঘ চার বছরের অপেক্ষা শেষ হবে। আগের নিবন্ধনগুলোতে প্রথমে প্রার্থীদের জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে পরে তাদের সনদগুলো বিতরণ করা হলেও এবার মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও সনদ বিতরণের কাজ চলছে সমান তালে।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের শুরুতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রায় চার বছর পর এ বছরের শেষে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ২৩ হাজার ৯৮৫ জন প্রার্থী এ নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। করোনা মহামারির ঠিক আগে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলো এনটিআরসিএ। পরে করোনা মহামারির থাবায় নিবন্ধন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এরপর গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রভাষকদের নিবন্ধনে বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করা হয়। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ লাখ ৫১ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।
স্কুল ও স্কুল-২ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা গত বছরের ৫ মে এবং কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা ৬ মে অনুষ্ঠিত হয়। গত ৩০ আগস্ট রাতে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৬ হাজার প্রার্থীর ভাইভা শুরু হয় গত ২৪ সেপ্টেম্বর। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভাইভা চলে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে ২৫ হাজার ২৪০ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।