দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে জাতীয় মেধাতালিকায় তাদের অবস্থান দেখা যাচ্ছে। একাধিক প্রার্থী বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
নির্ধারিত লিংকে (http://ngi.teletalk.com.bd/ntrca/merit/) প্রবেশ করে জাতীয় মেধাতালিকা দেখা যাবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার এনটিআরসিএ ও টেলিটক সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারির শুরুর মধ্যে প্রার্থীদের জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এনটিআরসিএর পরীক্ষা ও মূল্যায়ন শাখার একটি সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সনদ প্রিন্ট করার কাজ শুরু হয়েছে। কিছু কিছু সনদ প্রিন্ট হয়ে এনটিআরসিএ কার্যালয়ে চলে এসেছে। সনদ স্বাক্ষরের কাজ এখনো শুরু হয়নি।
সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা বলছেন, সব সনদ প্রিন্টের পর তা জেলায় জেলায় পাঠানো শুরু হবে। প্রার্থীদের জেলা শিক্ষা অফিস থেকে সনদ সংগ্রহ করতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে প্রার্থীরা সনদ হাতে পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ২৩ হাজার ৯৮৫ জন প্রার্থী জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে সনদ হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তারা ইতোমধ্যে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভায় পাস করেছেন। বহুল কাঙ্ক্ষিত এ সনদ পাওয়া ও জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের দীর্ঘ চার বছরের অপেক্ষা শেষ হবে। আগের নিবন্ধনগুলোতে প্রথমে প্রার্থীদের জাতীয় মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে পরে তাদের সনদগুলো বিতরণ করা হলেও এবার মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও সনদ বিতরণের কাজ চলছে সমান তালে।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের শুরুতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রায় চার বছর পর এ বছরের শেষে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ২৩ হাজার ৯৮৫ জন প্রার্থী এ নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। করোনা মহামারির ঠিক আগে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলো এনটিআরসিএ। পরে করোনা মহামারির থাবায় নিবন্ধন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এরপর গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রভাষকদের নিবন্ধনে বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করা হয়। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১ লাখ ৫১ হাজার প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।
স্কুল ও স্কুল-২ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা গত বছরের ৫ মে এবং কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা ৬ মে অনুষ্ঠিত হয়। গত ৩০ আগস্ট রাতে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৬ হাজার প্রার্থীর ভাইভা শুরু হয় গত ২৪ সেপ্টেম্বর। ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভাইভা চলে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে ২৫ হাজার ২৪০ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।