দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : শিক্ষক নিয়োগে বয়স ছাড়ের দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি দেবে ‘১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ফোরাম’। করোনা মহামারির কারণে ওই পরীক্ষার কার্যক্রম পিছিয়ে যাওয়ায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অনেকেরই বয়সসীমা পার হয়ে যায়। তাই ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়স ছাড় দিয়ে আবেদনের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণরা এ ব্যাপারে আবারো প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন বলে ‘দৈনিক শিক্ষাডটকম’কে জানান। পাশাপাশি কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
যদিও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) জানিয়েছে, বয়স ছাড়ের মেয়াদ শেষ। তাই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে নিয়োগে আর বয়সের ছাড় পাবেন না নিবন্ধিত প্রার্থীরা।
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে সারা বিশ্বের মতো দেশের সব দাপ্তরিক কার্যক্রম থমকে যায়। যার ফলে নিবন্ধন পরীক্ষার প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লেগেছে প্রায় চার বছর। পরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে সরকার সব দপ্তরেই ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছু সুযোগ- সুবিধা ঘোষণা করে। এরই অংশ হিসেবে সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে ৩৯ মাস বয়স ছাড় দেয়া হয়।
কিন্তু এই সুযোগ- সুবিধার আওতার বাইরে থেকে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উর্ত্তীণ প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার চাকরিপ্রার্থী। তাই তারা এখন নিয়োগের ক্ষেত্রেও করোনাকালীন সরকার ঘোষিত বয়সের ছাড় চাচ্ছেন।
তাদের দাবি, এখন বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করাদের ক্ষেত্রে বয়সের ছাড় দিয়ে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে তাদের আবেদনের সুযোগ দেয়া হোক।
লিখিত বক্তব্যে তারা আরো বলেন, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে প্রায় চার বছর সময় লেগে যায়। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আবেদনের সময় আমাদের অনেকের বয়স ৩১, ৩২, ৩৩ এবং ৩৪ বছর থাকলেও চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর অনেকের বয়স ৩৫ বছর পার হয়ে গেছে।