শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সমানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়েও বাদপড়া প্রতিবন্ধী প্রার্থীরা। একইসঙ্গে তাদের নিয়োগের দাবি জানিয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা। রোববার এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে তারা অবিলম্বে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকায় বাদপড়া প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়ার জোর দাবি জানান। অবিলম্বে বাদপড়া প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া না হলে করা না হলে আগামী ৮ জানুয়ারি অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তারা।
প্রতিবন্ধী প্রার্থী আবু জাহিদ বলেন, আমরা যারা প্রতিবন্ধী মানুষ এত কষ্ট করে পড়াশুনা শেষ করে চাকরির বাজারে নেমেছি অনেক আশা করে তাদেরকে এভাবে বঞ্চিত করা কোনভাবেই সমচীন হয়নি কেবলমাত্র আমরা জানি কতটা কষ্ট করে আজকের এই পর্যায়ে এসেছি, তবুও যদি আমাদের চাকরি না হয় তাহলে আমরা যাবো কোথায়?
আরেক প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থী পারুল বেগম বলেন, আমরা প্রতিবন্ধীরা এমনিতেই অনেক বেশি অবহেলার শিকার হই, এরপরও যখন কষ্ট করে এতদূর পথ পাড়ি দেই তখন স্বপ্ন দেখি যে হয়তো আমরা স্বাভাবিক মানুষের মত কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে আমরা এই চাকরিতে সুযোগ পাওয়ার কথা থাকলেও, আজ বঞ্চিতদের কাতারে।
ফাহিম মোহাম্মদ নামের আরেকজন প্রতিবন্ধী বলেন, সহকারী শিক্ষক পদের চূড়ান্ত ফলে ৩৭ হাজার ৫০০ শিক্ষক বাছাই করা হয়েছে। অথচ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও অতি নগন্য সংখ্যক প্রতিবন্ধীদের চূড়ান্ত তালিকায় স্থান হয়নি।
আর একজন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমাদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কোটা থাকার কথা থাকলেও সেখানে কোন প্রকার প্রতিবন্ধী কোটা রাখা হয় নাই। আজ যদি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এক শতাংশ কোটাও বরাদ্দ থাকতো তাহলে হয়তো কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এই সুবর্ণ সুযোগ হতে বাদ পরতেন না।