কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৯ জন শিক্ষককে অবাঞ্ছিত এবং বয়কট ঘোষণা করে রাতের আঁধারে টানানো ব্যানারে কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের প্রভাষক তন্ময় সাহা জয়-এর নাম দিয়ে তাকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয় এবং মানববন্ধনে অংশ নেন তারা।
এসময় শিক্ষার্থীরা 'তন্ময় স্যারের অপমান, মানিনা মানবো না; তোমার স্যার আমার স্যার, তন্ময় স্যার তন্ময় স্যার; এসময় তারা জেগেছে রে জেগেছে, ইবিয়ানরা জেগেছে; অপপ্রচারের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও; শিক্ষকের সম্মান রক্ষা করো, মিথ্যাচার বন্ধ করো; শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, মানি না মানবো না' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভে বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক হিমেল বলেন, আমাদের শিক্ষাগুরুকে অপমান করা হয়েছে, তাই আমরা আজ এই জায়গায় দাঁড়িয়েছি। আমার শিক্ষক তন্ময় স্যারকে যে অপমান করেছে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। তিনি ছাত্র আন্দোলনের সময় আমাদের পাশে ছিলেন এবং বিভিন্নভাবে আমাদেরকে সহায়তা করেছেন। যারা এমন নেক্কারজনক কাজ করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
অপর শিক্ষার্থী ইলিয়াস হোসেন বলেন, আন্দোলনের সময় স্যার আমার খবর নিয়েছেন। আমি বাসা থেকে যে সাপোর্ট পাইনি সে সাপোর্ট আমাকে আমার স্যার দিয়েছেন। যে সমস্ত শিক্ষক আন্দোলনের সময় আমাদের পক্ষে দাঁড়ায় নাই, তাদের বিচার করা হোক। পাশাপাশি আমার স্যারের অপমান যারা করেছে তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমি চাই। সারকে অপমান করা মানে জুলাইয়ের প্রত্যেকটা আন্দোলনকারীকে অপমান করা কারণ তিনি আমাদের পক্ষে ছিলেন। শিক্ষকের এমনও অপমান চব্বিশের ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না।
কানিজ ফাতেমা অবনী বলেন, আমাদের শিক্ষকের বিরুদ্ধে এধরণের অপপ্রচার আমরা মেনে নেব না। কারোর যদি স্যারের নামে কোন অভিযোগ থাকে তাহলে সে সামনে এসে বলুক। স্যার যে আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন এরকম কোন অভিযোগ আমাদের নাই বিপরীতে স্যার যে আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন এরকম অসংখ্য প্রমাণ, স্যারের ফেসবুক পোস্ট আমাদের কাছে আছে। সবাইকে বলব যে শিক্ষকদের যোগ্য সম্মানটা দিতে শিখুন।