সরকার ইতিমধ্যে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রায় সব দাবি মেনে নিয়েছে। এ অবস্থায় অল্প সময়ের মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুস্থ ও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম আবার শুরু হওয়া দরকার। এটা করতে শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক সহায়তা চেয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১।
রোববার (২৯ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১ এ দাবি জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আন্দোলনকারী ছাত্রদের হাতে বাংলাদেশের যে জাতীয় পতাকা শোভা পেয়েছে, এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারাই সেটার রূপকার। ছাত্র আন্দোলনের বাতাবরণে দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীর অনুপ্রবেশ পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। এ অবস্থায় অল্প সময়ের মধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুস্থ ও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম আবার শুরুর আহ্বান জানাই। ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানাই, তাঁরা যেন সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারে সর্বাত্মক সহায়তা করেন। কারণ, সরকার ইতিমধ্যে তাঁদের প্রায় সব মৌলিক দাবি মেনে নিয়েছে।’
প্রতিটি হত্যাকাণ্ড ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের দাবি জানিয়ে কমান্ডারস ফোরামের বিবৃতিতে বলা হয়, ধ্বংস হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রীয় সম্পদগুলো কোনো দল বা সরকারের নয়, সেগুলো রাষ্ট্র বা বাংলাদেশের মানুষের। মনে রাখা দরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধারা কোনো কোটা বা স্বার্থের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেননি।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-এর বিবৃতিতে কার্যনির্বাহী সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. নূরুল আলম, সহসভাপতি ম হামিদ, দপ্তর সম্পাদক মো. আবু সাঈদ, এ কে এম সহিদুল হক, ডা. আমজাদ হোসেনসহ আরও অনেকে সই করেছেন।