শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের নির্দেশনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের নির্দেশনা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) মনিপুর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক খালিদ জাহানের পক্ষে আইনজীবী আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
রিটে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের জারি করা চিঠি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
শিক্ষা সচিব, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও সহকারী পরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী আজিম উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে স্কুলের প্রতি একটি চিঠি দেওয়া হয়, যেখানে প্রতিটি স্কুলে পয়লা বৈশাখের দিন মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা এই চিঠি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছি।
এ আইনজীবী বলেন, পয়লা বৈশাখের দিন যে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়, দেশের আলেম সমাজের মতামত অনুসারে তা ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যেহেতু মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের বিষয়ে একটি ধর্মের লোকদের আপত্তি রয়েছে সুতরাং এটা পালনে সরকার বাধ্যবাধকতা দিতে পারে না। এই কারণে বিষয়টি সংবিধানের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ ১২ ও ৪১ এ উল্লেখিত ধর্মীয় স্বাধীনতার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
রিটটি বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীর ও বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হবে।
গত ১১ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সব স্কুল বরাবর দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপন অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু করতে হবে।
সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎসবমুখর পরিবেশে ও যথাযথ আড়ম্বরে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে। ইউনোস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে প্রচার করতে হবে। সকালে আবশ্যিকভাবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে র্যালি করতে হবে।