বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে সরকারি কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দিতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব বা সমমান কর্মকর্তা ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে সরকারি কর্মকর্তা বা অবসরপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তাকে মনোনয়নের বিষয়টি গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধান মালায় অন্তুর্ভুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলোকে এক সপ্তাহের ভেতর মতামত পাঠাতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা প্রণয়ণে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ প্রবিধানমালাটি ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের) গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা, ২০২২’ নামে পরিচিত হবে।
এতোদিন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটিতে স্থানীয় গণ্যমান্যরা সভাপতি হওয়ার সুযোগ পেতেন। তবে, প্রচলিতভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও এলাকায় প্রভাব এ দুই ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নির্বাচিত হতেন। তাই সারাদেশ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতিদের বিরুদ্ধে শিক্ষক হয়রানি ও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। সংশ্লিষ্টদের মতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে সরকারি কর্মকর্তা বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ দেয়া হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নৈরাজ্য কমবে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন প্রবিধানমালায় স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে সরকারি কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর মতামত চাইলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলোতে এ বিষয়ে মতামত চেয়ে পাঠানো চিঠিটি প্রকাশ করা হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলোতে পাঠানো উপসচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের) গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২২’ প্রণয়নের কাজ চলছে। এ প্রবিধানমালায় গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব বা সমমানের কর্মকর্তা (৫ম গ্রেডভুক্ত) এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে একজন সরকারি কর্মকর্তা বা অবসরপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা যায় কিনা সে বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে মতামত পাঠাতে বলা হলো।