নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উগ্র আচরণ, এক শিশুছাত্রীকে মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অপসারণের দাবি করেছেন অভিভাবকরা। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা মির্জা সোবহানা উপজেলার উত্তর ভাবনচুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত।
মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয় মাঠে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এক মানববন্ধনে প্রধান শিক্ষিকাকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। সেইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা।
অভিভাবকদের অভিযোগ, গত সোমবার সকালে স্কুলে কোনো কারণ ছাড়াই হালিমা আক্তার (৫) নামে প্রাক প্রাথমিকের এক শিশু শিক্ষার্থীকে স্কেল দিয়ে মারধর করেন ওই প্রধান শিক্ষিকার ৭ বছর বয়সি মেয়ে রাহি। হালিমার অভিভাবকরা মারধরের প্রতিবাদ করলে উল্টো প্রধান শিক্ষিকা তাদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তাদের গায়ে হাত তোলার জন্য এগিয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী প্রায় দুই ঘণ্টা স্কুলের ভেতরে প্রধান শিক্ষিকা মির্জা সোবহানাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্বার করে।
স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ, মির্জা সোবহানা ওই স্কুলে যোগদান করার পর থেকেই অনিয়মিত স্কুলে যাওয়া আসা করেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করেন। তার মেয়ে আমাদের সন্তানদের মারধর ও তিনি অকারণে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এর প্রতিবাদ করায় অভিভাবকদের মিথ্যা মামলার হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে চানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা মির্জা সোবহানা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এগুলো সব মিথ্যা ও বানোয়াট।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মাদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে সরেজমিন তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।