শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চেীধুরী নওফেল বলেছেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হল খুলে দেয়ার দাবি এখনো আমরা পাইনি। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত হল খুলে দেয়া যাবে না। গত মঙ্গলবার কোটা সংস্কার সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর আইনমন্ত্রীর গুলশানের বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এখন পর্যন্ত কতজন শিক্ষার্থী মারা গেছে-এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তথাকথিত আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যটা পরে বুঝতে পেরেছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলার পর আন্দোলনে কতজন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন, দেশের কোন কোন জায়গার শিক্ষার্থী ছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের পেছনে কারা ছিলো সেটা আগে নিরূপণ করতে হবে আমাদের। তার আগে আমরা একটা অ্যাসেসমেন্ট করছি। কিন্তু আমরা দেখছি এর মধ্যে কিছুটা আছে তথ্য, কিছুটা অপতথ্য এবং কিছুটা গুজব। তথ্যের যে বিভ্রাট সেটাকে ব্যবহার করেই জনমনে সার্বক্ষণিক এক ধরনের একটা আবেগ, উত্তেজনা বা সেটাকে ব্যবহার করে নাশকতামূলক কাজগুলোর ক্ষেত্রে যে জাষ্টিফিকেশনটা করছি সেটা কিন্তু করা উচিত নয়। তিনি বলেন, বর্তমান এই পরিস্থিতি পরিবর্তন হওয়ার পরেই আমাদের পক্ষে সঠিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হবে কারা কারা শিক্ষার্থী ছিলেন এবং কোন কোন প্রতিষ্ঠানের ছিলেন। সেটা কিন্তু এই মুহূর্তে করা কঠিন হবে।